আলহামদু লিল্লাহ।.
বীর্য ও কামরস (মনী ও মযি) এর মাঝে মৌলিক তিনটি পার্থক্য রয়েছে:
১। বীর্য সবেগে ও শক্তি দিয়ে বের হয়। পক্ষান্তরে, কামরস কোন গতি ছাড়া বের হয়। কখনও কখনও এটি বের হওয়ার সময় মানুষ টেরও পায় না।
২। বীর্য হচ্ছে- সাদা, ঘন, গাঢ় তরল। এর গন্ধ গাছের মঞ্জরী বা ময়দার খামিরের মত। পক্ষান্তরে, কামরস হচ্ছে- স্বচ্ছ, পাতলা, পিচ্ছিল তরল; এর কোন গন্ধ নেই।
৩। বীর্য বের হওয়ার পর যৌন নিস্তেজতা আসে। পক্ষান্তরে, কামরস বের হওয়ার পর এরকম কোন নিস্তেজতা আসে না।
ইমাম নববী তাঁর ‘আল-মাজমু’ গ্রন্থে (২/১৪১) বলেন:
“এ তিনটি বৈশিষ্ট্যের যে কোন একটি পাওয়াই বীর্য সাব্যস্ত হওয়ার জন্য যথেষ্ট; তিনটি একত্রে পাওয়া শর্ত নয়। যদি এ তিনটি শর্তের কোনটি পাওয়া না যায় তাহলে সেটাকে বীর্য বলে হুকুম দেয়া হবে না।”[সমাপ্ত]
স্থায়ী কমিটির ফতোয়াসমগ্রতে (৪/১৩৮) এসেছে-
বীর্য হচ্ছে- গাঢ় সাদা পানি। এটি পুরুষাঙ্গ থেকে সবেগে সুখানুভূতির সাথে বের হয়। এটি বের হওয়ার পর মানুষ যৌন নিস্তেজতা অনুভব করে। সঠিক মতানুযায়ী বীর্য পবিত্র। ধুয়ে ফেলা কিংবা খসে ফেলার মাধ্যমে বীর্য থেকে কাপড়-চোপড় পরিস্কার করা মুস্তাহাব। কেউ বীর্যপাত করলে তার ওপর গোসল ফরয হয়; সেটা সঙ্গমের কারণে হোক কিংবা স্বপ্নদোষের কারণে হোক। আর যদি রোগের কারণে কিংবা তীব্র ঠাণ্ডার কারণে সুখানুভূতি ছাড়া বীর্য বের হয় তাহলে গোসল ফরয হবে না; শুধু ওজু ফরয হবে।
কামরস হচ্ছে- পাতলা ও পিচ্ছিল পানি। এটি স্ত্রীর সাথে শৃঙ্গারে লিপ্ত হওয়ার মাধ্যমে পুরুষাঙ্গ থেকে বের হয় কিংবা সঙ্গম নিয়ে চিন্তা করলে বের হয়; তবে এটি সবেগে বের হয় না এবং এটি বের হওয়ার পর নিস্তেজতা আসে না।
ওদি হচ্ছে- গাঢ় সাদা রঙের পানি; যা প্রস্রাবের পর পুরুষাঙ্গ থেকে বের হয়। এটি অপবিত্র। এটা বের হলে ওজু ফরয হয়।
আরও জানতে দেখুন 99507 নং প্রশ্নোত্তর।
আল্লহাই ভাল জানেন।