রবিবার 21 জুমাদাল ছানী 1446 - 22 ডিসেম্বর 2024
বাংলা

মুয়াজ্জিন আযান দিচ্ছেন; এ সময় সেহেরী খাওয়ার হুকুম

প্রশ্ন

মুয়াজ্জিন দ্বিতীয় আযান দিচ্ছেন এমতাবস্থায় সেহেরী খাওয়া অব্যাহত রাখা কি জায়েয হবে; নাকি সেহেরী খাওয়া পরিত্যাগ করতে হবে?

উত্তর

আলহামদু লিল্লাহ।.

এর বিধান বিশ্লেষণসাপেক্ষ। যদি মুয়াজ্জিন ফজর হওয়ার পর আযান দেন (অর্থাৎ সুবহে সাদিক হওয়ার পর আযান দেন) তাহলে খাওয়া পরিহার করা ও উপবাস শুরু করা আবশ্যক। যেহেতু নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: "বিলালের আযান যেন তোমাদেরকে সেহেরী খাওয়া থেকে বিরত না রাখে। কারণ সে রাত থাকতে আযান দেয়। অতএব, তোমরা পানাহার চালিয়ে যাও যতক্ষণ না ইবনে উম্মে মাকতুম আযান দেয়।" এ বিধানের মূল দলিল হল আল্লাহ্‌র বাণী: "তোমরা খাও ও পান কর; যতক্ষণ না ভোরের কালো রেখা থেকে শুভ্র রেখা ফুটে না উঠে।" এ জন্য যদি জানা যায় যে, ফজর উদিত হয়েছে তখন পানাহার থেকে বিরত থাকা আবশ্যক; আযান না দেয়া হলেও যেমন মরুভূমিতে আযান দেয়া হয় না কিংবা আযান না শুনলেও।

আর যদি মুয়াজ্জিন ফজর হওয়ার আগেই আযান দেয় কিংবা তার আযানের ব্যাপারে সন্দেহ হয় যে, সেটা কি ফজরের ওয়াক্তমত হয়েছে নাকি হয়নি; সেক্ষেত্রে সে ব্যক্তি ফজর হয়েছে মর্মে নিশ্চিত হওয়া অবধি পানাহার করতে পারেন; সেটা ফজরের ওয়াক্ত হওয়ার সময় নির্দিষ্ট করা আছে এমন ঘড়ির সময় দেখার মাধ্যমে কিংবা নির্ভরযোগ্য মুয়াজ্জিনের আযানের মাধ্যমে যার ব্যাপারে জানেন যে, তিনি ফজরের ওয়াক্ত হলেই আযান দেন।

তাই এমন আযানের অবস্থায়ও সে ব্যক্তি পানাহার করতে পারবেন কিংবা তার হাতে যে খাবার বা পানীয়টুকু আছে সেটা সম্পূর্ণ করতে পারবেন। যেহেতু এ আযানটি সুবহে সাদিক হওয়ার আযান নয়; বরং সম্ভাব্য আযান।

সূত্র: মাজমুউ ফাতাওয়াস শাইখ বিন বায; খণ্ড-১৫, পৃষ্ঠা-২৮২