আলহামদু লিল্লাহ।.
অবহেলাকারী ছাত্রের উপর আর্থিক জরিমানা ধার্য করা জায়েয নয়; চাই জরিমানার অর্থ ভাল ছাত্রদেরকে দেয়া হোক কিংবা দান করে দেয়া হোক। কেননা আর্থিক জরিমানার মাধ্যমে শাস্তি দেয়ার অধিকার শুধুমাত্র আইনানুগ শাসকের কিংবা তার স্থলাভিষিক্ত বিচারক ও কর্মকর্তাদের। উপরন্তু, আলেমদের মাঝে মূলত: আর্থিক জরিমানার মাধ্যমে শাস্তি দেয়া জায়েয কিনা তা নিয়ে মতভেদ রয়েছে।
মূল বিধান হচ্ছে– কোন মুসলিমের সম্পদ গ্রহণ হারাম। যেহেতু নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “নিশ্চয় তোমাদের রক্ত, তোমাদের ধন-সম্পদ, তোমাদের ইজ্জত-আব্রু তোমাদের পরস্পরের জন্য হারাম (পবিত্র) যেমনিভাবে তোমাদের এই দিনটি তোমাদের এই মাসে ও এই দেশে হারাম (পবিত্র)। এখানে উপস্থিত ব্যক্তি যেন অনুপস্থিত ব্যক্তির নিকট এসব কথা পৌঁছে দেয়।”[সহিহ বুখারী (৬৭) ও সহিহ মুসলিম (১৬৭৯)]
স্থায়ী কমিটিকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল যে, এক গোত্রের কিছু লোক এই মর্মে একমত হয়েছে যে, যে ব্যক্তি কিছু কিছু বিষয়ে লিপ্ত হবে তার উপরে কিছু আর্থিক জরিমানা ধার্য করা হবে।
জবাবে তাঁরা বলেন: “এ ধরণের পদক্ষেপ নাজায়েয। কেননা এটি এমন লোকদের পক্ষ থেকে আর্থিক জরিমানা ধার্য করা যারা আইনগতভাবে (শরিয়ত মোতাবেক) সে ক্ষমতা রাখে না। বরং এ ক্ষমতার অধিকারী হচ্ছে- বিচার বিভাগ। তাই, এ ধরণের জরিমানা প্রত্যাহার করা কর্তব্য।”[ফাতাওয়াল লাজনাহ্ আদ্ দায়িমা (১৯/২৫২)]
আল্লাহ্ই সর্বজ্ঞ।