আলহামদু লিল্লাহ।.
যদি রক্তটি রোযাদারের অনিচ্ছায় পেটে চলে যায় এতে করে রোযা ভাঙ্গবে না। যেহেতু আল্লাহ্ তাআলা বলেন: “হে আমাদের প্রভু! আমরা যদি ভুলে যাই কিংবা ভুল করি তাহলে আমাদেরকে শাস্তি দিবেন না। আল্লাহ্ কাউকে তার সাধ্যের বাইরে দায়িত্বারোপ করেন না। সে যা (ভাল) উপার্জন করেছে এর সুফল সে পাবে, আবার যা (মন্দ) উপার্জন করেছে এর কুফলও সে ভোগ করবে। ”[সূরা বাক্বারা, আয়াত: ২৮৬] হাদিসে এসেছে যে, আল্লাহ্ তাআলা বলেছেন: আমি তা করেছি। অর্থাৎ আমি তোমাদেরকে পাকড়াও করব না।
আর যদি সেটাকে প্রতিরোধ করা কিংবা বের করে ফেলে দেয়া ব্যক্তির সাধ্যে ছিল; কিন্তু সে তা করেনি, বরং ইচ্ছা করে গিলে ফেলেছে, তাহলে এতে করে তার রোযা ভেঙ্গে যাবে। দলিল হচ্ছে লাকীত বিন সাবুরা (রাঃ) কে লক্ষ্য করে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বাণী: “প্রকৃষ্টভাবে নাকে পানি দাও; যদি না তুমি রোযাদার হও”।[সুনানে আবু দাউদ (২৩৬৬) ও সুনানে তিরমিযি (৭৮৮), সুনানে নাসাঈ (৮৭) ও সুনানে ইবনে মাজাহ (৪০৭)]
শাইখ ইবনে উছাইমীন (রহঃ) বলেন:
এই হাদিস প্রমাণ করে যে, রোযাদার ব্যক্তি নাকে পানি দেয়ার ক্ষেত্রে প্রকৃষ্টতা অবলম্বন করবে না। আমরা এই নিষেধাজ্ঞার যে কারণটি বুঝি সেটা হলো প্রকৃষ্টভাবে নাকে পানি দেয়া পানি পেটে চলে যাওয়ার মাধ্যম। পানি পেটে যাওয়া রোযা ভঙ্গকারী। এর ভিত্তিতে আমরা বলব: যা কিছু নাকের মধ্য দিয়ে পেটে প্রবেশ করবে সেগুলো রোযা ভঙ্গকারী।[আল-শারহুল মুমতি (৬/৩৭৯)]