আলহামদু লিল্লাহ।.
আলহামদুলিল্লাহ।গাড়ী মার্কেটের মূল্য-নিরূপণকারী ক্ষতিপূরণ হিসেবে যে অংক নির্ধারণ করেছে আপনি উক্ত অর্থ গ্রহণ করতে কোন অসুবিধা নেই। কেননা এ বিষয়ে রায় নিতে হবে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ব্যক্তি থেকে।
মূলনীতি হচ্ছে যে ব্যক্তি কারো গাড়ী নষ্ট করেছে সে এ ক্ষতির জরিমানা দিতে বাধ্য, এর সাথে দুঘর্টনার কারণে গাড়ীর মূল্য যত কমেছে সেটাও যোগ হবে।
আল-মাওসুআ আল-ফিকহিয়্যা (১/২২৬) গ্রন্থে এসেছে-
“যদি নষ্ট হয়ে যাওয়া জিনিসের সম জাতীয় জিনিস পাওয়া যায় তাহলে সে ব্যক্তি সমজাতীয় জিনিস দিয়ে ক্ষতিপূরণ দিবে– এ ব্যাপারে আমরা কোন মতভেদ জানি না। আর যদি মূল্যায়নযোগ্য জিনিস হয় তাহলে মূল্য দিয়ে ক্ষতিপূরণ দিবে। অনুরূপভাবে আমরা এ ব্যাপারেও কোন মতভেদ জানি না যে, মূল্য নির্ধারণের ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণের স্থানটাই ধর্তব্য হবে।[সমাপ্ত]
এ গ্রন্থে (২৮/২৩৩) আরও রয়েছে-
আত্মসাতের কারণে কিংবা ক্ষতিকর কোন কাজের কারণে কিংবা নষ্ট করার কারণে সম্পদের যে ঘাটতি হয় সেটার ক্ষতিপূরণ দেয়ার ব্যাপারে ফিকাহবিদদের কোন মতভেদ নেই; হোক না এই ঘাটতি ইচ্ছাকৃত কিংবা ভুলক্রমে কিংবা অবহেলার কারণে।[সমাপ্ত]
শাইখ উছাইমীন বলেন: শুধু গাড়ীর যন্ত্রাংশ দিতে হবে তা নয়; বরং গাড়ীর যন্ত্রাংশ এবং এক্সিডেন্টের কারণে গাড়ীর যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সেটাও দিতে হবে। অনেক মানুষের এ বিষয়টি মাথায় আসে না। অথচ সকলেই জানে এক্সিডেন্টের শিকার হওয়া গাড়ী মেরামত করা হলেও এর মূল্য এবং এক্সিডেন্ট হয়নি এমন গাড়ীর মূল্যের মধ্যে কত তফাৎ।[ফতাওয়া নুরুন আলাদ দারব থেকে সমাপ্ত]
অতএব, আপনার এই অর্থ গ্রহণে কোন অসুবিধা নেই। এমনকি আপনি যদি গাড়ীটি এর চেয়ে কম পয়সায়ও মেরামত করতে পারেন তবুও। কারণ হল যা আমরা ইতিপূর্বে উল্লেখ করেছি: এক্সিডেন্ট এর কারণে গাড়ীর মূল্য কমে গেছে। আপনি ক্ষতিপূরণ নিয়ে আপনার গাড়ী রেখে দেওয়া কিংবা পুরান মার্কেটে বিক্রি করে দেওয়া কোনটাতে আপত্তি নেই।
আল্লাহ্ই সর্বজ্ঞ।