আলহামদু লিল্লাহ।.
যদি কেউ কোন কোম্পানিতে প্রোগ্রামার হিসেবে চাকুরী করে সে ক্ষেত্রে প্রোগ্রামগুলোর মালিকানা কোম্পানীর হবে। তিনি তার অনার্থিক অধিকার সাব্যস্ত করার দাবী করতে পারেন; সেটা প্রোগ্রামে তার নাম উল্লেখ করার মাধ্যমে।
যদি কোম্পানি আপনাকে আপনার পাওনাগুলো পরিশোধ না করে এবং পরবর্তীতে অতিরিক্ত পারিশ্রমিকের বিনিময়ে আপনি প্রোগ্রামগুলো উন্নয়ন করে থাকেন; কিন্তু সে পাওনাও কোম্পানি আপনাকে না দেয়— তাহলে আপনার সমস্ত পাওনা কোম্পানীর উপর ঋণ হিসেবে গণ্য হবে। আপনি আইনানুগ পন্থায় আপনার পাওনাগুলো পাওয়ার চেষ্টা করতে পারেন; যেমন মামলা করার মাধ্যমে।
তবে প্রোগ্রামগুলোর মালিকানা কোম্পানিরই থাকবে। আপনার পাওনা পরিশোধে গড়িমসি করার কারণে সেগুলোর মালিকানা কোম্পানি থেকে স্থানান্তরিত হয়ে আপনার কাছে চলে আসবে না। কিন্তু আপনি আইনানুগ পন্থা অবলম্বন করার পরও যদি আপনার অধিকার না পান সেক্ষেত্রে আপনার জন্য এই পরিমাণ প্রোগ্রাম বিক্রি করা জায়েয হবে যতটুকু বিক্রি করলে আপনার পাওনা উঠে আসবে; এর চেয়ে বেশি নয়। এটি আলেমদের নিকট مسألة الظفر হিসেবে পরিচিত। তবে আপনি নিজেকে চুরির অপবাদ থেকে রক্ষা করতে পারার শর্ত প্রযোজ্য হবে।
ইবনুল মুলাক্কিন (রহঃ) বলেন: "যে ব্যক্তির অপর কারো কাছে কোন পাওনা থাকে; কিন্তু আদায় করতে সক্ষম না হয় সে ক্ষেত্রে উক্ত ব্যক্তির সম্পদ থেকে তার অনুমতি ব্যতিরেকে তার পাওনার সমপরিমাণ সম্পদ গ্রহণ করা জায়েয হবে। এটি ইমাম শাফেয়ি ও তাঁর সাথীদের মাযহাব। এটাকে বলা হয়: مسألة الظفر।
ইমাম আবু হানিফা ও মালেক নাজায়েয বলেছেন; যেমনটি তাদের থেকে ইমাম নববী 'শারহে মুসলিম' গ্রন্থে উদ্ধৃত করেছেন।
কুরতুবী বলেন: "এটাই হচ্ছে ইমাম মালেকের প্রসিদ্ধ মাযহাব।"।
অপর এক আলেম ইমাম আবু হানিফা থেকে বর্ণনা করেন যে: তার পাওনা যে জাতীয় সে জাতীয় জিনিস নিতে পারবে; অন্য জাতীয় জিনিস নয়। তবে সে দিনারের পরিবর্তে দিরহাম নিতে পারবে; কিন্তু উল্টোটা নিতে পারবে না।
ইমাম আহমাদ থেকে বর্ণিত: সে ব্যক্তি সজাতীয় জিনিস বা অপর জাতীয় জিনিস কোনটাই নিতে পারবে না।
ইমাম মালেক থেকে বর্ণিত: যদি ঋণগ্রস্তের উপর অন্য কোন ঋণ না থাকে (অর্থাৎ অন্য কোন ব্যক্তির পাওনা না থাকে) তাহলে নিতে পারবে। আর যদি অন্যেরও ঋণ থাকে তাহলে তার পাওনার অনুপাত যতটুকু ততটুকু নিতে পারবে; এর বেশি নয়।
আল-মাযেরি ইমাম মালেক থেকে তিনটি অভিমত বর্ণনা করেন:
তৃতীয় অভিমত হল: যে ব্যক্তি তার পাওনার সজাতীয় জিনিস হস্তগত করতে সক্ষম হয়েছে তার জন্য জায়েয; সজাতীয় না হলে নয়।[আল-ইলাম বি ফাওয়ায়েদে উমদাতিল আহকাম (১০/১৭)]
ইতিপূর্বে এ মাসয়ালা ও এর শর্তাবলি 171676 নং প্রশ্নোত্তরে উল্লেখ করা হয়েছে।
আল্লাহ্ই সর্বজ্ঞ।