আলহামদু লিল্লাহ।.
যিলহজ্জ মাসের ৯ দিন রোযা রাখা মুস্তাহাব। এর সপক্ষে প্রমাণ রয়েছে ইবনে আব্বাস (রাঃ) এর হাদিসে: “অন্য যে কোন সময়ের নেক আমলের চেয়ে আল্লাহর কাছে এ দিনগুলোর নেক আমল অধিক প্রিয়। তারা (সাহাবীরা) বললেন: ইয়া রাসূলুল্লাহ্! আল্লাহর পথে জিহাদও নয়? তিনি বলেন: আল্লাহর পথে জিহাদও নয়; তবে কোন লোক যদি তার জানমাল নিয়ে আল্লাহর রাস্তায় বেরিয়ে পড়ে এবং কোন কিছু নিয়ে ফেরত না আসে সে ব্যতীত।”[সহিহ বুখারী (৯৬৯)] হুনাইদা বিন খালেদ তার স্ত্রী থেকে, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কোন একজন স্ত্রী থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন: “রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ৯ই যিলহজ্জ, আশুরার দিন এবং প্রতিমাসে তিনদিন রোযা রাখতেন: মাসের প্রথম সোমবার ও যে কোন দুই বৃহঃষ্পতিবার।[মুসনাদে আহমাদ (২১৮২৯), সুনানে আবু দাউদ (২৪৩৭), ‘নাসবুর রায়াহ’ গ্রন্থে (২/১৮০) হাদিসটিকে দুর্বল বলা হয়েছে; আলবানী সহিহ বলেছেন]
আর ঈদের দিন রোযা রাখা হারাম। এর সপক্ষে প্রমাণ হচ্ছে আবু সাঈদ খুদরি (রাঃ) এর মারফু হাদিস: “ঈদুল ফিতরের দিন ও কোরবানির দিন রোযা রাখতে নিষেধ করেছেন” [সহিহ বুখারী (১৯৯২) ও সহিহ মুসলিম (৮২৭)]। এ দুইদিন রোযা রাখা ‘হারাম’ হওয়া মর্মে আলেমগণ ইজমা (ঐক্যমত) করেছেন।
এ দশদিনে নেক আমল করা অন্য যে কোন দিন নেক আমল করার চেয়ে বেশি মর্যাদাপূর্ণ। তবে, রোযা রাখা যাবে শুধু ৯ দিন। ১০ ই যিলহজ্জ ঈদের দিন। ঈদের দিনে রোযা রাখা হারাম।
এ আলোচনার আলোকে ‘যিলহজ্জের দশদিন রোযা রাখার ফযিলত’ এমন শিরোনাম দ্বারা উদ্দেশ্য হচ্ছে- শুধু ৯ দিন রোযা রাখা। ৯ দিনকে ১০ দিন বলা হয়েছে তাগলিবের ভিত্তিতে (অর্থাৎ দশকের ভগ্নাংশকে দশক হিসেবে উল্লেখ করার ভিত্তিতে)।[দেখুন: ইমাম নববী কৃত সহিহ মুসলিমের ব্যাখ্যাগ্রন্থ; হাদিস নং- (১১৭৬)]