আলহামদু লিল্লাহ।.
যদি হজ্জ বা উমরা পালনেচ্ছু ব্যক্তি হজ্জ বা উমরা সমাপনে বাধাপ্রাপ্ত হওয়ার আশংকা করেন তাহলে ইহরামকালে তিনি শর্ত করে নেয়ার বিধান রয়েছে। তিনি বলবেন: ‘ইন হাবাসানি হাবিস ফা মাহিল্লি হাইছু হাবাসতানি’ (অর্থ- যদি কোন প্রতিবন্ধকতা আমাকে আটক করে তাহলে (হে আল্লাহ) আপনি আমাকে যেখানে আটক করেন সেখানে আমি হালাল হয়ে যাব।)। সহিহ বুখারী (৫০৮৯) ও সহিহ মুসলিম (১২০৭) এর বর্ণনাতে এসেছে- দুবাআ বিনতে যুবাইর (রাঃ) অসুস্থ অবস্থায় হজ্জ করার নিয়ত করলে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: তুমি হজ্জের নিয়ত ও ইহরাম বাঁধ এবং এই বলে শর্ত করে নাও: আল্লাহুম্মা মাহিল্লি হাইছু হাবাসতানি (হে আল্লাহ! আপনি যেখানে আমাকে আটক করেন আমি সেখানে হালাল হয়ে যাব)।
মুহরিমের জন্য এ শর্ত করার সুবিধা হচ্ছে- মুহরিম হজ্জ বা উমরা সমাপনে যদি কোন প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হন যেমন- অসুস্থতা, দুর্ঘটনা, কিংবা যে কোন কারণে তাকে মক্কায় ঢুকতে বাধাপ্রাপ্ত হওয়া তাহলে তিনি তার ইহরাম থেকে হালাল হয়ে যেতে পারবেন; তার উপর ফিদিয়া বা হাদি বা মাথা-মুণ্ডানো ইত্যাদি কিছুই বর্তাবে না।
আর যদি তিনি এ শর্ত না করেন তাহলে তিনি হবেন ‘মুহসার’। মুহসার (হজ্জ বা উমরা আদায়ে বাধাপ্রাপ্ত ব্যক্তি) এর উপর হাদি যবেহ করা ও মাথা মুণ্ডন করা ওয়াজিব; যেমনটি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হুদাইবিয়ার বছর করেছিলেন। যখন তিনি মুশরিকদের পক্ষ থেকে মক্কা প্রবেশে বাধাপ্রাপ্ত হয়েছিলেন তখন তিনি হাদির পশু যবেহ করলেন ও মাথা মুণ্ডন করলেন এবং তাঁর সাহাবীদেরকেও তা করার নির্দেশ দিলেন। তিনি বললেন: “তোমরা উঠ, হাদি কোরবানী কর, অতঃপর মাথা মুণ্ডন কর।”[সহিহ বুখারী (২৭৩৪)] আল্লাহ তাআলা বলেন: আর তোমরা হজ্জ ও উমরা পূর্ণ কর আল্লাহ্র উদ্দেশ্যে। অতঃপর যদি তোমরা বাধাপ্রাপ্ত হও তাহলে সহজলভ্য হাদি প্রদান করো। আর তোমরা মাথা মুণ্ডন করো না যে পর্যন্ত হাদি তার স্থানে না পৌঁছে।”[সূরা বাকারা, আয়াত: ১৯৬]
শাইখ বিন বায (রহঃ) বলেন:
এ শর্ত করার সুবিধা হলো- “মুহরিম ব্যক্তি যদি রুগ্নতা কিংবা শত্রুর বাধা এ জাতীয় কোন প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হন; যে কারণে তিনি হজ্জ সমাপ্ত করতে না পারেন তাহলে তার জন্য হালাল হয়ে যাওয়া জায়েয; তার উপর কোন কিছু বর্তাবে না।”[মাজমুউ ফাতাওয়া বিন বায (১৭/৫০)]
শাইখ ইবনে উছাইমীন (রহঃ) বলেন:
আর শর্ত করার সুবিধা: সুবিধা হচ্ছে মানুষ যদি হজ্জ সমাপ্ত করতে কোন বাধার সম্মুখীন হয় তাহলে কোন কিছু ছাড়া সে হালাল হয়ে যেতে পারবে। অর্থাৎ তার উপর কোন ফিদিয়া বা কাযা বর্তাবে না।[সমাপ্ত]
[মাজমুউ ফাতাওয়া ইবনে উছাইমীন (২২/২৮)]