আলহামদু লিল্লাহ।.
হাদিসটির উদ্দেশ্য হচ্ছে: যে সব নবী ও আউলিয়া মারা গেছেন তাদের বরকত লাভের জন্য জবাই করা কিংবা জ্বিনদের জন্য জবাই করা; তাদেরকে সন্তুষ্ট করার জন্য কিংবা তারা কিছু প্রয়োজন পূরণ করে দেয়ার আশায় কিংবা তারা কোন ক্ষতি দূর করার উদ্দেশ্য নিয়ে; ইত্যাদি হারাম। যেহেতু এ ধরণের জবাই বড় শির্ক; যা ব্যক্তিকে আল্লাহ্র লানত ও গজবের উপযুক্ত করে তোলে।
পক্ষান্তরে, অতিথিদের প্রতি সম্মান দেখাতে গিয়ে কিংবা পরিবারের সদস্যদেরকে কিছুটা প্রশস্ততা দিতে গিয়ে জবাই করা এবং আল্লাহ্র নৈকট্য লাভের উদ্দেশ্যে পশু জবাই করে সেটি মৃতদের জন্য সদকা করা তথা জীবিত-মৃত সকলের জন্য আল্লাহ্র কাছে এর সওয়াব আশা করা জায়েয। বরঞ্চ এটি একটি ইহসান (অনুকম্পাশ্রেণীর সৎকর্ম)। আল্লাহ্র কাছে যার জন্য সওয়াব আশা করা যায়। একই কথা প্রযোজ্য কোরবানীর দিনে মৃত ও জীবিতদের পক্ষ থেকে জবাইকৃত কোরবানীগুলোর ক্ষেত্রে।
আল্লাহই তাওফিকের মালিক। আমাদের নবী মুহাম্মদ, তাঁর পরিবার-পরিজন ও সাহাবীবর্গের প্রতি আল্লাহ্র রহমত ও শান্তি বর্ষিত হোক।[সমাপ্ত]
শাইখ আব্দুল আযিয বিন বায, শাইখ আব্দুর রাজ্জাক আফিফি, শাইখ আব্দুল্লাহ্ বিন গাদইয়ান, শাইখ আব্দুল্লাহ্ বিন ক্বাউদ।[ফাতাওয়াল লাজনাদ দায়িমা (১/১৯৬)]
স্থায়ী কমিটির ফতোয়াসমগ্রে (১/২২৫) আরও এসেছে:
“অতিথির জন্য পশু জবাই করা জায়েয। জবাই করার সময় আল্লাহ্র নামে জবাই করতে হবে। এ ধরণের জবাই আল্লাহ্ তাআলার এ বাণীর সার্বিকতার অধিভুক্ত নয়: وَمَا أُهِلَّ لِغَيْرِ اللَّهِ بِهِ (এবং যা আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো জন্য জবাই করা হয়েছে)[সূরা মায়িদা, ৩: ৫] বরঞ্চ আয়াতে আল্লাহ্ ছাড়া অন্য কারো জন্য জবাই করা দ্বারা উদ্দেশ্য হচ্ছে যেমন মৃতব্যক্তি ও তাদের মত অন্য কারো নৈকট্য হাছিলের জন্য জবাই করা। পক্ষান্তরে, মেহমানের জন্য জবাই করা: এর উদ্দেশ্য হলো মেহমানকে সম্মান করা; তার ইবাদত করা নয়। কেননা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মেহমানকে সম্মান করার নির্দেশ দিয়েছেন।”
আল্লাহই তাওফিকের মালিক। আমাদের নবী মুহাম্মদ, তাঁর পরিবার-পরিজন ও সাহাবীবর্গের প্রতি আল্লাহ্র রহমত ও শান্তি বর্ষিত হোক।[সমাপ্ত]
শাইখ আব্দুল আযিয বিন বায, শাইখ আব্দুর রাজ্জাক আফিফি, শাইখ আব্দুল্লাহ্ বিন গাদইয়ান, শাইখ আব্দুল্লাহ্ বিন ক্বাউদ।
আল্লাহই সর্বজ্ঞ।