আলহামদু লিল্লাহ।.
মসজিদের মত কোন পাবলিক প্রতিষ্ঠান কিংবা গরীবদের জন্য ওয়াক্ফকৃত সম্পদে যাকাত নেই। কেননা এ সম্পদের সুনির্দিষ্ট কোন মালিক নেই।
ইমাম নববী ‘আল-মাজমু’ গ্রন্থে (৫/৩১১) বলেন: “যদি পশুসম্পদ কোন সাধারণ খাতে ওয়াক্ফ করা হয়; যেমন গরীবদের জন্য, মসজিদের জন্য, মুজাহিদদের জন্য, ইয়াতীমদের জন্য এবং অনুরূপ কোন খাতে; তাতে যাকাত নেই। কেননা এর কোন নির্দিষ্ট মালিক নেই।”[সমাপ্ত]
তিনি আরও বলেন: “ওয়াক্ফকৃত বাগানের ফলফলাদি ও ওয়াক্ফকৃত জমির ফসলাদি যদি মসজিদ, ব্রিজ, মাদ্রাসা, গরীব মানুষ, মুজাহিদ, ভিনদেশী মানুষ, ইয়াতীম, বিধবা কিংবা এ জাতীয় সাধারণ খাতের জন্য ওয়াক্ফকৃত হয়; তাহলে তাতে যাকাত নেই। আর যদি নির্দিষ্ট কোন ব্যক্তির জন্য বা নির্দিষ্ট ব্যক্তিসকলের জন্য কিংবা নির্দিষ্ট কোন ব্যক্তির সন্তানদের জন্য ওয়াক্ফ করা হয় তাহলে এতে উশর (এক দশমাংশ) যাকাত আবশ্যক হবে; এ ব্যাপারে কোন মতভেদ নেই। কেননা তারা ফল ও ফসলের পরিপূর্ণ মালিক। তারা এগুলোর মধ্যে সব ধরণের হস্তক্ষেপ করতে পারে।”[আল-মাজমু (৫/৪৮৩) থেকে সমাপ্ত]
‘আল-ফুরু’ গ্রন্থে (২/৩৩৬) এসেছে: “কোন অনির্দিষ্ট ব্যক্তির জন্য কিংবা মসজিদ, মাদ্রাসা ও সরাইখানার জন্য ওয়াক্ফ করলে তাতে যাকাত নেই।”[সমাপ্ত]
শাইখ বিন বায (রহঃ) বলেন:
আমার কাছে মসজিদ বানানোর জন্য দানকারীদের দেয়া কিছু অর্থ আছে। এ অর্থ আমার কাছে এক বছরের বেশি সময় পড়ে আছে। এ সম্পদের উপর কি যাকাত আছে; নাকি নাই?
জবাবে তিনি বলেন: “এতে কোনরূপ যাকাত নেই। কেননা এ সম্পদের মালিকেরা তা আল্লাহ্র রাস্তায় ব্যয় করেছেন। আপনার উচিত অবিলম্বে সেটা বাস্তবায়ন করা।”[মাজমুউল ফাতাওয়া (১৪/৩৭) থেকে সমাপ্ত]
তাই মসজিদ বানানোর জন্য জমাকৃত অর্থে যাকাত ফরয নয়।
আল্লাহই সর্বজ্ঞ।