আলহামদু লিল্লাহ।.
অনিচ্ছাকৃতভাবে শূকরের গোশত খেয়েছেন বিধায়আপনাদের কোনো গুনাহ হবে না। দলিল হচ্ছে- আল্লাহর বাণী: “আর তোমরা ভুলবশত যা করেছ তাতে তোমাদের কোনো গুনাহ হবে না; তবে তোমাদের অন্তরে সংকল্প থাকলে (অপরাধ হবে)। আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।”[সূরা আল আহযাব: ৫]হাদিসে এসেছে- রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আল্লাহ আমার উম্মতের ভুল, বিস্মৃতি ও জবরদস্তির শিকার হয়ে যা করে- এগুলো ক্ষমা করে দেন।”[ইবনে মাজাহ (২০৪৩) আলবানি হাদিসটিকে ‘সহিহ’ বলেছেন]তবে মুসলমানের উচিত খাবার গ্রহণের ব্যাপারে সাবধান থাকা ও সচেতন থাকা। বিশেষ করে সে যদি অমুসলিম দেশে থাকে যে দেশের অধিবাসীরা অপবিত্র বস্তু খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে।
আর শূকরের নাপাকি থেকে পবিত্রতা অর্জনের পদ্ধতির ক্ষেত্রে কোন কোন আলেম কুকুরের নাপাকির সাথে তুলনা করে সাতবার ধৌত করার কথা বলেছেন; সাতবারের মধ্যে একবার হবে মাটি ব্যবহার করে। তবে বিশুদ্ধ মত হল- শূকরের নাপাকির ক্ষেত্রে একবার ধৌত করলেই চলবে। ইমাম নববী মুসলিম শরীফের ব্যাখ্যায় বলেছেন, ‘অধিকাংশ আলেমের মতানুযায়ী শূকরের নাপাকি সাতবার ধৌত করতে হবে না। এটি ইমাম শাফেয়ি এর অভিমত। দলিলের দিক থেকে এ অভিমতটি শক্তিশালী। এ মতকে শাইখ ইবনে উসাইমীনও প্রাধান্য দিয়েছেন। তিনি ‘আশশারহুল মুমতি’ নামকগ্রন্থ (১/৪৯৫) এ বলেন: “ফিকাহবিদগণ শূকরের নাপাকিকে কুকুরের নাপাকির সাথে যুক্ত করেছেন; কেননা তা কুকুর থেকেও অধিক অপবিত্র। সুতরাং কুকুরের নাপাকি থেকে পবিত্রতা অর্জনের হুকুম শূকরের নাপাকি থেকে পবিত্রতা অর্জনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হওয়া যুক্তিযুক্ত। তবে এ কিয়াস বা যুক্তিটি দুর্বল। কারণ শূকরের আলোচনা কুরআন এসেছে এবং শূকরের অস্তিত্ব রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লমের যুগেও ছিল। তা সত্ত্বেও তিনি শূকরকে কুকুরের সাথে যুক্ত করেন নি। তাই এ ক্ষেত্রে বিশুদ্ধ অভিমত হল, শূকরের নাপাকি অন্যান্য নাপাকির মতই। অন্যান্য নাপাকির মতো ধুয়ে ফেললেই চলবে।” সমাপ্ত।
আরও জানতে দেখুন 22713 নং প্রশ্নোত্তর।
অন্যান্য নাপাকি ধৌত করার শুদ্ধ পদ্ধতি হল- যেভাবে ধুইলে নাপাকি দূর হয়ে যায় সেটাই যথেষ্ট। এ ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কোন সংখ্যক বার ধৌত করা শর্ত নয়। শূকর স্পর্শজনিত নাপাকি থেকে পবিত্রতার পদ্ধতি যাই হোক না কেন, এখন আপনাদের শরীরের কোনো অংশ ধৌত করা আবশ্যক নয় এবং আপনাদের সালাত কবুলের ক্ষেত্রে এর কোনো নেতিবাচক প্রভাব নেই।
আল্লাহ তাআলাই ভাল জানেন।