আলহামদু লিল্লাহ।.
যা কিছু সাজসজ্জা ও সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য সেটার মূল বিধান হচ্ছে— বৈধ ও জায়েয হওয়া। আল্লাহ্তাআলা বলেন: "তিনিই সেই মহান সত্তা যিনি তোমাদের জন্য পৃথিবীর সবকিছু সৃষ্টি করেছেন।"[সূরা বাক্বারা, আয়াত: ২৯] কখনও মুস্তাহাব হতে পারে; যদি সেই সাজ স্বামীর উদ্দেশ্যে হয়। তখন এটি শরিয়ত নির্দেশিত বিষয়। তবে এটি বৈধ হওয়া শর্তযুক্ত: যাতে করে সেটা হারাম ক্ষেত্রে ব্যবহৃত না হয়; যেমন যাদের সামনে সৌন্দর্য প্রদর্শন করা নাজায়েয এমন গাইরে মাহরাম পুরুষদের জন্য সাজগোজ করা। অনুরূপভাবে প্রসাদনী সামগ্রীর মাঝে দেহের জন্য ক্ষতিকর কোন উপাদান বা নাপাক উপাদান (উদাহরণতঃ শূকরের চর্বি) না থাকা। যদি থাকে তাহলে এমন সাজগোজ হারাম হবে। কেননা যা কিছু মানুষের জন্য ক্ষতিকর তা করা নিষিদ্ধ। যেহেতু নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: "নিজে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া নয় এবং অন্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করা নয়।
শাইখ উছাইমীন (রহঃ) বলেন: "ঠোটে লিপস্টিক দিতে কোন আপত্তি নেই। কেননা মূল বিধান হল: বৈধতা; যতক্ষণ না হারাম হওয়া সাব্যস্ত হয়…। কিন্তু যদি সাব্যস্ত হয় যে, এটি ঠোঁটের জন্য ক্ষতিকর; এটি ঠোঁটকে শুকিয়ে ফেলে, ঠোঁটের আর্দ্রতা ও তৈলাক্ততা দূর করে দেয়— এ ধরণের অবস্থার ক্ষেত্রে এর ব্যবহার থেকে নিষেধ করা হবে। আমার কাছে সংবাদ পৌঁছেছে যে, এটি ঠোঁট ফাঁটার কারণ। যদি তা সাব্যস্ত হয় তাহলে মানুষের জন্য যা কিছু ক্ষতিকর সেটি করা তার জন্য নিষিদ্ধ।[ফাতাওয়া মানারুল ইসলাম (৩/৮৩১)]
ড. ওয়াজিহ যাইনুল আবেদীন 'আল-ওয়া'য়ুল ইসলামী' নামক ম্যাগাজিনে বর্তমানে যে কসমেটিকসগুলো জনপ্রিয় এবং নারীরা যেগুলো ব্যবহার করে থাকেন এগুলোর অপকারিতা সম্পর্কে তিনি একটি আর্টিকেল লিখেছেন। সে আর্টিকেলে এসেছে: "…লিপস্টিক ব্যবহারে ঠোঁটের ক্যান্সার হতে পারে কিংবা ঠোঁটের কোমল চামড়া শুকিয়ে যেতে পারে, ফেটে যেতে পারে। কারণ লিপস্টিক ঠোঁটকে সুরক্ষাকারী স্তরটি ধ্বংস করে ফেলে।"[শাইখ আব্দুল্লাহ্ফাওযান রচিত "যিনাতুল মারআতিল মুসলিমা (পৃষ্ঠা-৫১) থেকে সংকলিত]
তাই মুসলিম নারীর উচিত বর্তমানে জনপ্রিয় কসমেটিকস সামগ্রীগুলো ব্যবহার করার পূর্বে এটি দেহের জন্য ক্ষতিকর নয় মর্মে নিশ্চিত হয়ে নেওয়া।
আল্লাহই সর্বজ্ঞ।