আলহামদু লিল্লাহ।.
এই অর্থ গ্রহণ করতে কোন অসুবিধা নাই। রাষ্ট্রীয় অবসর নীতিমালার অধীনে যে অর্থ পাওয়া যায় সেটা দিয়ে উপকৃত হওয়া জায়েয মর্মে অনেক আলেম ফতোয়া দিয়েছেন। তারা রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এ ধরণের অর্থপ্রাপ্তিকে রাষ্ট্রের উপর দুর্বলদের যত্ম নেয়া ও তাদের পাশে দাঁড়ানোর কর্তব্যের মধ্যে গণ্য করেছেন।
শাইখ আব্দুল আযিয বিন বায (রহঃ) কে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল: অবসরকালীন পেনশন গ্রহণ করার হুকুম সম্পর্কে?
জবাবে তিনি বলেন: "পেনশন গ্রহণ করা জায়েয। এই মর্মে উচ্চ উলামা পরিষদের ফতোয়া ইস্যু হয়েছে।"[শাইখ আব্দুল্লাহ্ আত্তাইয়্যার রচিত 'লিকাআতি মাআশ শাইখাইন' (প্রথম ভাগ, পৃষ্ঠা-৬৬) থেকে সমাপ্ত]
শাইখ উছাইমীন (রহঃ) কে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল: আমার অবসর নেয়ার সময় নিকটবর্তী; আমাকে কী উপদেশ দিবেন? আমি কি অবসর ভাতা নেয়ার বদলে ইস্তফা দিয়ে আমার প্রাপ্য বুঝে নিব। কেননা আমি শুনেছি যে, অবসর ভাতার ব্যাপারে সংশয় আছে। যদিও একবারে নিয়ে নেয়ার চেয়ে অবসর ভাতা নেয়া আমার জন্য উপকারী। নাকি এতে কোন সংশয় নাই; তাই আমি সেটা নিতে পারি?
জবাবে তিনি বলেন: আমি বলব: ইনশা আল্লাহ্ এতে কোন সংশয় নেই। অবসর ভাতাতে কোন সংশয় নেই। কেননা সেটা আসে বায়তুল মাল থেকে। এতে কোন ব্যক্তির সাথে অপর কোন ব্যক্তির কোন লেনদেন নাই যে, আমরা বলব: এতে সুদের সংশয় আছে। বরং এটি বাইতুল মাল থেকে এই অবসরগ্রহণকারীর প্রাপ্য। এতে কোন সংশয় নেই। আপনি আপনার চাকুরীতে থাকুন এবং অবসর ভাতা গ্রহণ করুন। আমি আল্লাহ্র কাছে দোয়া করি যাতে করে এর মধ্যে আপনার জন্য বরকত দেন।"[আল-লিকা আশ-শাহরি (২২/৫৮) থেকে সমাপ্ত]
চাই রাষ্ট্র এই পেনশন বেতন হিসেবে পরিশোধ করুক কিংবা থোক অংকে একবারে পরিশোধ করুক কিংবা সার্ভিস শেষে থোক একটা এমাউন্ট দিয়ে আবার মাসিক বেতনও পরিশোধ করুক— এর কোনটি গ্রহণে কোন অসুবিধা নেই। এমনকি কর্মকর্তার সার্ভিসকালীন বছরগুলোতে যত অংক কেটে রাখা হয়েছে সেটার থেকে বেশি পরিশোধ করুক কিংবা কম পরিশোধ করুক।
আল্লাহ্ই সর্বজ্ঞ।