আলহামদু লিল্লাহ।.
এক:
এখানে স্বামীর কথার বাহ্যিক মর্ম হচ্ছে তিনি কার্যতই স্ত্রীকে তালাক দিয়েছেন। তিনি স্ত্রীর মায়ের মাধ্যমে তার কাছে তালাক দেয়ার সংবাদটি পৌঁছাতে চেয়েছেন।
অতএব: তিনি তার স্ত্রীকে তালাক দেয়া উচ্চারণ করার মাধ্যমেই স্ত্রীর উপর তালাক কার্যকরী হবে; তার শাশুড়ি যদি কার্যতঃ সংবাদটি না পৌঁছান তবুও।
সারাখসির রচিত "আল-মাবসুত" গ্রন্থে (৬/১৪১) এসেছে: "যদি কোন ব্যক্তি অন্য কাউকে বলে যে, আমি আমার বউকে তালাক দেয়ার খবরটি তার কাছে পৌঁছিয়ে দিন; তাহলে তার বউ তালাক হয়ে যাবে— ঐ লোক খবরটি পৌঁছাক কিংবা না পৌঁছাক।"[সমাপ্ত]
"আল-মুদাওয়ানা" গ্রন্থে (২/৭৮) এসেছে:
'এক লোক অপর লোককে বলল: আমার স্ত্রীকে খবর দাও যে, সে তালাকপ্রাপ্তা'; তালাকটি কখন থেকে কার্যকর হবে বলে আপনার অভিমত? যেই দিন স্ত্রীকে জানানো হয়েছে সেইদিন থেকে? নাকি যেই দিন তাকে খবর দিতে বলা হয়েছে সেই দিন থেকে?
তিনি বলেন: মালেকের অভিমত অনুযায়ী যেই দিন খবর দিতে বলেছে সেইদিন থেকে তালাক কার্যকর হবে।
আমি বলব: যদি সেই লোক তার স্ত্রীকে খবরটি না দেয়?
তিনি বলেন: মালেকের অভিমত অনুযায়ী স্ত্রীকে খবর না দিলেও তালাক কার্যকর হবে। যেহেতু "যে লোক তার স্ত্রীর কাছে একজন বাহককে এই মর্মে সংবাদ দেয়ার জন্য পাঠিয়েছেন যে, সে তাকে তালাক দিয়েছে। কিন্তু বাহক সংবাদটি গোপন করেছে" তার ব্যাপারে মালেক বলেছেন: কোন কাজে আসবে না। তালাক অনিবার্য হয়ে গেছে।"[সমাপ্ত]
দুই:
কোন স্বামী যদি তার স্ত্রীকে বলেন: তুমি তালাক, তালাক, তালাক; তাহলে শুধু এক তালাক পড়বে। দেখুন: 96194 নং প্রশ্নোত্তর। আরও বেশি জানতে দেখুন: 285881 নং প্রশ্নোত্তর।
তিন:
রাগান্বিত অবস্থায় তালাকের বিষয়টি ব্যাখ্যাসাপেক্ষ। আমাদের ওয়েবসাইটের মনোনীত অভিমত হচ্ছে— যে ধরণের রাগের কারণে মানুষ নিজে কী বলছে তা বুঝতে পারে না কিংবা বুঝতে পারলেও তার রাগ এত তীব্র হয় যে, সেটা তাকে তালাক দিতে প্ররোচিত করে; যদি তার রাগ না উঠত তাহলে সে তালাক দিত না— তাহলে এমন তালাক পড়বে না। দেখুন: 45174 নং প্রশ্নোত্তর।
আপনার কর্তব্য হল: (যেহেতু আপনারা এমন দেশে অবস্থান করছেন যে দেশে শরিয়া কোর্ট রয়েছে) কোর্টের শরণাপন্ন হওয়া; যাতে করে বিচারক এই তালাকের কী হুকুম তাতে নযর দিতে পারেন।
আল্লাহ্ই সর্বজ্ঞ।