আলহামদু লিল্লাহ।.
এক:
যদি আপনার ছোটবেলা থেকে রোযা রাখার অভ্যাস থাকে; তাহলে মূল অবস্থা হলো আপনি রোযা রেখেছেন। অতএব, সন্দেহের দিকে ভ্রুক্ষেপ করবেন না।
আর যদি রোযা রাখা আপনার অভ্যাস না হয়ে থাকে; তাহলে অগ্রগণ্য মতানুযায়ী অন্য কারো সাক্ষ্যের ভিত্তিতে আমল করা আপনার জন্য জায়েয। তাই আপনার পরিবারকে জিজ্ঞেস করুন। যদি তারা বলে: আপনি রোযা রেখেছেন; তাহলে আপনার উপর কোন কিছু বর্তাবে না।
তাদের সাক্ষ্য প্রবল ধারণা দেয়। বিধিবিধানগুলো প্রবল ধারণার ভিত্তিতেও বিনির্মাণ করা হয়; যেমনিভাবে নিশ্চিত জ্ঞানের ভিত্তিতেও নির্মাণ করা হয়।
ফিকাহর একটি সূত্র হচ্ছে: “সর্বাধিক বড় রায়ের উপর আমল করা জায়েয”।
ড. মুহাম্মদ সিদক্বী আল-বুর্ণ “মাওসুআতুল ক্বাওয়ায়েদ” গ্রন্থে (৭/৪৫৬) বলেন: সর্বাধিক বড় রায়ের দ্বারা উদ্দেশ্য হচ্ছে: প্রবল ধারণা ও অগ্রগণ্যতার দিকটি জানতে পারা।
সূত্রটি নির্দেশ করছে যে, বিধিবিধান বিনির্মাণ করার ক্ষেত্রে নিশ্চিত জ্ঞান (ইয়াক্বীন) পাওয়া না গেলে প্রবল ধারণাই যথেষ্ট। কেননা অধিকাংশ বিধানের ক্ষেত্রে অকাট্য জ্ঞান অপ্রাপ্য।[সমাপ্ত]
দুই:
যদি প্রবল ধারণা পাওয়া না যায় যে, আপনি রোযা রেখেছেন; তাহলে কাযা পালন করা আপনার উপর আবশ্যক। কেননা মূল অবস্থা হলো: কাজটি না-করা।
আল-কারাফী ‘আল-ফুরুক” গ্রন্থে (১/২২৭) বলেন: “যদি সন্দেহ করে যে, সে কি রোযা রেখেছে; নাকি রাখেনি; তাহলে রোযা রাখা তার উপর আবশ্যক।[সমাপ্ত]
পূর্বোক্ত কথাগুলো প্রযোজ্য হবে যদি প্রশ্নকারী নারী ওয়াসওয়াসা (শুচিবায়ু)-তে আক্রান্ত না হন। যদি আক্রান্ত হন তাহলে তার উপর কোন কিছু বর্তাবে না এবং সে তার শুচিবায়ুর দিকে ভ্রুক্ষেপ করবে না।
আল্লাহই সর্বজ্ঞ।