আলহামদু লিল্লাহ।.
এক:
বাণিজ্যিক ইন্সুরেন্স হারাম
বাণিজ্যিক ইন্সুরেন্স ধোকা ও জুয়ার উপর প্রতিষ্ঠিত। এই ইন্সুরেন্সের সকল রূপ হারাম। ইতিপূর্বে 8889 নং প্রশ্নোত্তরে এর বিধান বর্ণনা করা হয়েছে।
কিন্তু কোন মানুষকে যদি এই ইন্সুরেন্স করার জন্য বাধ্য করা হয় তাহলে এতে তার গুনাহ হবে না। যে ব্যক্তি বাধ্য করেছে তার গুনাহ হবে।
দুই:
চুক্তির মেয়াদকালীন সময়ের মধ্যে ইন্সুরেন্স কোম্পানির ইন্সুরেন্সের অর্থ বাড়ানোর অধিকার নেই।
ইন্সুরেন্সের নির্দিষ্ট মেয়াদ থাকে এবং ইন্সুরেন্সকারীর আগ্রহের ভিত্তিতে নবায়ন করা হয়। চুক্তির মেয়াদকালীন সময়ের মধ্যে ইন্সুরেন্স কোম্পানির ইন্সুরেন্সের অর্থ বাড়ানোর অধিকার নেই। কোম্পানি সেটা নবায়নের সময় করতে পারে এবং সেক্ষেত্রে ইন্সুরেন্সকারীর অপশন থাকবে।
উদাহরণতঃ যদি ইন্সুরেন্সের মেয়াদ হয় এক বছর এবং ইন্সুরেন্সের অর্থ মাসিক কিস্তিতে পরিশোধ করা হয়; তদুপরি চুক্তিকালীন বছরে ইন্সুরেন্স কোম্পানির কিস্তি বাড়ানোর অধিকার নেই। যদি বাড়ায় এবং আপনার এ কোম্পানি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সুযোগ থাকে তাহলে বেরিয়ে যাওয়া আপনার জন্য জায়েয হবে।
ইন্সুরেন্সকারী এক্সিডেন্ট করেছেন এই কারণে কিস্তি বাড়ানোর কোন যুক্তি নেই। কারণ ইন্সুরেন্সের কাজই এটা। ইন্সুরেন্স কোম্পানি এক্সিডেন্টের ক্ষতিপূরণ ও মেরামতের খরচ বহন করবে এবং অতিরিক্ত যা থাকবে সেটাই সে লাভ করবে। ইন্সুরেন্সকারী এক্সিডেন্ট করেছেন এতে আবার নতুন কি আছে?
সারকথা:
চুক্তির মেয়াদকালীন সময়ের মধ্যে ইন্সুরেন্সের অর্থ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত মেনে নিতে ইন্সুরেন্সকারী বাধ্য নন। যদি তাকে বাধ্য করা হয় এবং তিনি এ কোম্পানি বাদ দেয়ার কোন কৌশল পেয়ে যান তাহলে নিজের সম্পদ রক্ষা করার জন্য এ কোম্পানিটি বাদ দেয়া তার পক্ষে জায়েয আছে।
আর যদি ইন্সুরেন্স কোম্পানি চুক্তিপত্রে উল্লেখ করে থাকে যে, ইন্সুরেন্সের মেয়াদের মধ্যে ইন্সুরেন্সকারী যদি এক্সিডেন্ট করে কিংবা গাড়ী মেরামত করার খরচ নির্দিষ্ট একটি অংক পার হয়ে যায় তাহলে কোম্পানি কিস্তির পরিমাণ বাড়িয়ে দিবে: সেটা অন্য আরেকটি ধোকা। ইন্সুরেন্সের চুক্তিপত্রে যে ধোকা ও সুদের উপস্থিতি রয়েছে সেগুলোর সাথে এটিও যোগ হবে। ইন্সুরেন্সকারীর এমন কোন শর্ত পূর্ণ করা অনিবার্য নয়। তাই দুঘর্টনার পর এ কোম্পানিকে বর্জন করার তার অধিকার রয়েছে। কেননা এটি একটি অকার্যকর শর্ত যা একটি অকার্যকর চুক্তিতে করা হয়েছে; যে চুক্তিতে তাকে জোরপূর্বক প্রবেশ করানো হয়েছে।
আল্লাহ্ই সর্বজ্ঞ।