আলহামদু লিল্লাহ।.
রমযানের কাযা রোযা পালন ওয়াজিব রোযা রাখার অন্তর্ভুক্ত; যে রোযা কোন শরয়ি ওজর ছাড়া বাতিল করা কারো জন্য জায়েয নয়। অতএব, কোন ব্যক্তি যদি কাযা রোযা পালন শুরু করে তার উপর আবশ্যক হল উক্ত রোযা সম্পূর্ণ করা। এই রোযা নফল রোযার মত নয়। নফল রোযা পালনকারী নিজেই নিজের কর্তা; যখন ইচ্ছা তখন ভেঙ্গে ফেলতে পারে, চাইলে নাও ভাঙ্গতে পারে। দেখুন: 49985 নং প্রশ্নোত্তর।
উম্মে হানী (রাঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেন: ইয়া রাসূলুল্লাহ আমি তো রোযাদার ছিলাম; কিন্তু রোযা ভেঙ্গে ফেলেছি। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে বললেন: আপনি কি কোন কাযা রোযা পালন করছিলেন? উম্মে হানী (রাঃ) বললেন: না। তখন তিনি বললেন: যদি নফল রোযা হয় তাহলে কোন ক্ষতি নাই।"[সুনানে আবু দাউদ (২৪৫৬), আলবানী হাদিসটিকে সহিহ বলেছেন] এ হাদিসটি প্রমাণ করে যে, যদি এটা ফরয রোযা হয় তাহলে তার ক্ষতি করবে। এখানে ক্ষতি দ্বারা উদ্দেশ্য হচ্ছে- গুনাহ।
কিন্তু আপনাদের স্বামী-স্ত্রীর মাঝে যা ঘটেছে সেটার ব্যাপারে কথা হচ্ছে: কেবল রমযান মাসের দিনের বেলায় স্ত্রী সহবাসের কারণে স্ত্রী-সহবাসের কাফ্ফারা ওয়াজিব হয়; অন্যথায় নয়। অতএব, আপনার উপর এমন কিছু আবশ্যক হবে না। আপনার স্ত্রীর উপর উক্ত দিনের রোযাটি কাযা করা আবশ্যক হবে। তবে আল্লাহ্র কাছে তাওবা করতে হবে এবং এমন কর্মে পুনরায় লিপ্ত না হওয়ার ব্যাপারে দৃঢ় সংকল্প করতে হবে।
ইবনে রুশদ বলেন: "রযমানের কাযা-রোযা ইচ্ছা করে ভেঙ্গে ফেললেও কাফ্ফারা ওয়াজিব হবে না। কেননা উক্ত কাযা রোযার ক্ষেত্রে এমন পবিত্রতা নেই যা মূল সময়ের (তথা রমযানের) রয়েছে।"[বিদায়াতুল মুজতাহিদ (২/৮০)]
স্থায়ী কমিটির ফতোয়া সমগ্রতে (১০/৩৫২) এসেছে: "কাফ্ফারা ওয়াজিব হয় এমন ব্যক্তির উপর যে ব্যক্তি রমযান মাসে সহবাস করেছে— সময়ের পবিত্রতার কারণে। পক্ষান্তরে, আলেমগণের বিশুদ্ধ মতানুযায়ী কাযা রোযার ক্ষেত্রে কাফ্ফারা ওয়াজিব হয় না।"