আলহামদু লিল্লাহ।.
আল্লাহ আমাকে ও আপনাকে সত্য বুঝার তাওফিক দান করুন। যা বললেন তা একান্তইকুসংস্কার এবংঅভিনব একটি বিশ্বাস। কুরআন-হাদিসে এর কোন দলিল নেই, বরং এসব হল বিদাতি ও পথভ্রষ্টদের বক্তব্য। যেমন তারা বলে: চাঁদ যখন বৃশ্চিকরাশি, অথবা রশ্মির নিচে, অথবা চাঁদ যখন পুরোপুরি আলোকহীন পর্যায়ে পৌঁছে, চাদের এজাতীয় ক্ষণে সহবাস করা তারা মাকরুহ বলেছেন।[দেখুন: রায়েদ সাবরি এর“মুজামুল বিদা” পৃষ্ঠা- ৬৫৬]
আল্লাহ তাআলা সকলস্থান ও সময়ে স্ত্রী সহবাস করা হালাল করেছেন; কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া। সেগুলোর মধ্যে রয়েছে-
এক. রমযানের দিনেরবেলায় সহবাস করা। আল্লাহ তাআলা বলেন:“সিয়ামের রাতে তোমাদের জন্য তোমাদের স্ত্রীসহবাস হালাল করা হয়েছে। তারা তোমাদের জন্য পরিচ্ছেদ এবং তোমরা তাদের জন্য পরিচ্ছেদ। আল্লাহ জানেন যে, তোমরা নিজেদের সাথে খেয়ানত করছিলে। অতঃপর তিনি তোমাদের তওবা কবূল করেছেন এবং তোমাদেরকে ক্ষমা করেছেন। অতএব, এখন তোমরা তাদের সাথে মিলিত হও এবং আল্লাহ তোমাদের জন্য যা লিখে রেখেছেন তা অনুসন্ধান কর। [সূরা বাকারা, আয়াত:১৮৭]
দুই. হায়েজ ও নিফাসের সময় সহবাস করা। আল্লাহ তাআলা বলেন:“আর তারা আপনাকে ঋতুস্রাব সম্পর্কে প্রশ্ন করে। বলুন, তা কষ্টদায়ক। সুতরাং তোমরা ঋতুস্রাবকালে স্ত্রীদের থেকে দূরে থাক এবং তারা পবিত্র না হওয়া পর্যন্ত তাদের নিকটবর্তী হয়ো না। অতঃপর যখন তারা পবিত্র হবে তখন তাদের নিকট আস, যেভাবে আল্লাহ তোমাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন।[সূরা বাকারা, আয়াত: ২২২]
তিন.মসজিদে সহবাস করা:আল্লাহ তাআলা বলেন: “আর তোমরা মসজিদে ইতিকাফরত অবস্থায় স্ত্রীদের সাথে মিলিত হয়ো না। এটা আল্লাহর সীমারেখা। সুতরাং তোমরা এর নিকটবর্তী হয়ো না।[সূরা বাকারা, আয়াত: ১৮৭]
এগুলো ছাড়াও আরও কিছু অবস্থায় যেমন, মুহরিম থাকাঅবস্থায়ও স্ত্রী সহবাস হারাম।
পক্ষান্তরেউপরে উল্লেখিত কুসংস্কারের পক্ষে কোনো দলিল নেই। বরং এটি বাতিল, গর্হিত ও অপছন্দনীয়। ব্যাপক প্রচারণার ফলে এটি কিছু মানুষের নিকট মূল বিশ্বাসে পরিণত হয়েছে, তারা এ থেকে বিরত হচ্ছে না। এমন অনেক মানুষ রয়েছে, যারা মঙ্গলবার স্ত্রী সহবাস করে সুস্থ সন্তানের পিতা হয়েছে।মঙ্গলবারে সহবাস করার কারণে তাদের বা তাদের সন্তানদের কোন ক্ষতি হয়নি। আল্লাহ আমাকে ও আপনাকে অপছন্দনীয় বিষয় থেকে রক্ষা করুন।
আল্লাহই ভাল জানেন।