বুধবার 15 শাওয়াল 1445 - 24 এপ্রিল 2024
বাংলা

ইসলাম গ্রহণের সহজতা

প্রশ্ন

প্রশ্ন: আমার বাবা আফ্রিকান বংশোদ্ভূত আমেরিকান নাগরিক। আমার মা সাদা আমেরিকান। আমি এই ধর্ম সম্পর্কে ব্যাপক পড়াশুনা করেছি। আমার বয়স ১৬ বছর। সত্যিকারভাবে আমি মুসলিম হতে চাই। আমি জানতে চাই আসলেই কি মুসলিম হতে পারব?

উত্তর

আলহামদু লিল্লাহ।.

ইসলাম ধর্মের সৌন্দর্য হচ্ছে- এ ধর্মে বান্দা ও প্রভুর মাঝে কোন মাধ্যম নেই। এ ধর্মের আরেকটি সুন্দর দিক হচ্ছে- এ ধর্ম গ্রহণ করার জন্য বিশেষ কোন ব্যক্তির কাছে কর্মপ্রক্রিয়া নেই। কিংবা বিশেষ ব্যক্তিবর্গের অনুমোদনের প্রয়োজন নেই। বরং ইসলাম গ্রহণ করা খুবই সহজ। কোন মানুষ নিজে নিজেই সেটা করতে পারে; এমনকি সে যদি একেবারে নিঃসঙ্গ হয়, কিংবা মরুভূমিতে থাকে কিংবা কোন বদ্ধ কামরায় থাকে সেখানেও সে নিজে ইসলাম গ্রহণ করতে পারে। গোটা প্রক্রিয়াটা হচ্ছে- সুন্দর দুটি বাক্য উচ্চারণ করা; যে বাক্যদ্বয়ের মধ্যে পরিপূর্ণ ইসলামের মর্ম নিহিত রয়েছে। যাতে অন্তর্ভুক্ত আছে- মানুষের পক্ষ থেকে আল্লাহর দাসত্বের স্বীকৃতি, আল্লাহর প্রতি আত্মসমর্পণ, আল্লাহকে উপাস্য হিসেবে স্বীকার করে নেয়া, নিজের ওপর আল্লাহকে যা ইচ্ছা হুকুমদাতা হিসেবে মেনে নেয়া। যাতে রয়েছে- মুহাম্মদ আল্লাহর বান্দা ও তাঁর নবী (বার্তাবাহক); তিনি আল্লাহর পক্ষ থেকে যা কিছু অহী হিসেবে নিয়ে এসেছেন সেসব অনুসরণ করা আবশ্যকীয়, তাঁর আনুগত্য হচ্ছে- আল্লাহরই আনুগত্য। যে ব্যক্তি পরিপূর্ণ একীন ও বিশ্বাসের সাথে এ সাক্ষ্যবাণীদ্বয় উচ্চারণ করবে সে ইসলামে প্রবেশ করবে এবং মুসলমানদের একজন হিসেবে গণ্য হবে। মুসলমানদের প্রাপ্য যে যে অধিকার রয়েছে তার জন্যেও সেসব অধিকার সাব্যস্ত হবে এবং মুসলমানদের ওপর যে যে দায়িত্ব রয়েছে তার ওপর সেসব দায়িত্ব বর্তাবে। ইসলাম গ্রহণের পর পরই সে ব্যক্তি আল্লাহ তার ওপর যেসব আবশ্যকীয় দায়িত্ব অর্পণ করেছেন সেগুলো পালন করা শুরু করবে। যেমন- যথাসময়ে নামায আদায় করা, রমযান মাসে রোজা (উপবাস) পালন করা ইত্যাদি।

প্রশ্নকারী বোন, উপরের আলোচনা থেকে নিশ্চয় আপনার কাছে পরিস্কার হয়েছে যে, আপনি এখুনি মুসলিম হয়ে যেতে পারেন। আপনি গিয়ে গোসল করে নিন এবং বলুন “আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া সত্য কোন উপাস্য নেই; আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মদ আল্লাহর বান্দা ও রাসূল (বার্তাবাহক)।” আরও বিস্তারিত জানার জন্য আপনি এ ওয়েব সাইটের “ইসলাম গ্রহণ” বিভাগটি দেখুন।

আল্লাহ আপনাকে সকল প্রকার কল্যাণের তাওফিক দিন, আপনার চলার পথ সঠিক করে দিন, আপনার জন্য দুনিয়া ও আখেরাতের কল্যাণ লিখে দিন। যারা হেদায়েতের পথ গ্রহণ করেছে তাদের ওপর শান্তি বর্ষিত হোক।

সূত্র: শাইখ মুহাম্মদ সালেহ আল-মুনাজ্জিদ