আলহামদু লিল্লাহ।.
আলহামদুলিল্লাহ (সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য)। এক:
মূলতঃ কাফেরের দেয়া হাদিয়া গ্রহণ করা জায়েয; এতে করে তার সাথে সখ্যতা তৈরি হয়, তাকে ইসলামের দিকে আকৃষ্ট করা যায়। ঠিক যেমনিভাবে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মুকাওকাস ও অন্যান্য কিছু কিছু কাফেরের হাদিয়া গ্রহণ করেছিলেন।
ইমাম বুখারি তাঁর সহিহ গ্রন্থে একটি পরিচ্ছেদের শিরোনাম দেন এভাবে: “মুশরিকদের হাদিয়া গ্রহণ শীর্ষক পরিচ্ছেদ”। বুখারি (রহঃ) বলেন: আবু হুরায়রা (রাঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন: ইব্রাহিম (আঃ) সারাকে নিয়ে সফরে বের হলেন। তিনি এমন একটি গ্রামে প্রবেশ করলেন যেখানে ছিল একজন বাদশাহ বা প্রতাপশালী। তিনি বললেন: সারাকে উপঢৌকন হিসেবে ‘হাজেরা’ কে দাও। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কাছে (রোস্টকরা) বিষযুক্ত বকরী হাদিয়া পাঠানো হয়েছিল। আবু হুমাইদ বলেন: আইলার বাদশাহ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে একটি সাদা রঙের খচ্চর ও একটি চাদর উপহার পাঠিয়েছিল এবং তাঁর নিকট তাদের কবিতার ছন্দ ব্যবহার করে চিঠি লিখেছিল। এক ইহুদি নারী কর্তৃক নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বিষমাখা ছাগল হাদিয়া দেওয়ার ঘটনাও তিনি উল্লেখ করেছেন। দুই:
হৃদ্যতা তৈরির জন্য ও ইসলামের প্রতি আকৃষ্ট করার জন্য কোন মুসলমানের পক্ষ থেকে কাফেরকে বা মুশরিককে উপহার দেয়া জায়েয। বিশেষতঃ যদি প্রতিবেশী হয় অথবা আত্মীয় হয়। উমর (রাঃ) মক্কায় বসবাসকারী তাঁর মুশরিক ভাইকে একটি হুল্লাহ (এক ধরনের পোশাক) উপহার দিয়েছিলেন।”[সহিহ বুখারি, ২৬১৯]
তবে কাফেরদের কোন উৎসবের দিন তাদেরকে উপহার দেয়া যাবে না। কেননা এটা এই বাতিল দিবসকে স্বীকৃতি দেয়া ও সেটা উদযাপনের পর্যায়ে পড়ে। আর তা যদি এমন হাদিয়া হয় যা দিবস উদযাপনের কাজে লাগে যেমন- খাবার বা মোমবাতি ইত্যাদি তাহলে সেটা আরও বেশি জঘন্য হারাম। কোন কোন আলেমের মতে- সেটা কুফরি। যাইলায়ী তাঁর ‘তাবইনুল হাকায়েক’ গ্রন্থ (৬/২২৮) এ বলেন: “নওরোজ ও মেলার নামে কিছু দেয়া নাজায়েয। অর্থাৎ এ দুই দিনের নামে প্রদত্ত হাদিয়া হারাম; বরঞ্চ কুফর”। আবুল আহওয়াছ আল-কাবির (রহঃ) বলেন: “যদি কোন ব্যক্তি পঞ্চাশ বছর আল্লাহর ইবাদত করার পর নওরোজের দিন এসে কতিপয় মুশরিককে কিছু উপহার দেয় এবং এ উপহারের মাধ্যমে এ দিনের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে তাহলে সে কাফের হয়ে যাবে এবং তার সব আমল বরবাদ হয়ে যাবে”। ‘আল-জামে আল-আসগার’ গ্রন্থকার বলেন: “নওরোজের দিন যদি অপর কোন মুসলিমকে কোন একটা হাদিয়া দেয়; কিন্তু হাদিয়ার উদ্দেশ্য এ দিনের প্রতি সম্মান প্রদর্শন না হয় (বর্তমানে অনেক মানুষ যা করতে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে) তাহলে কাফের হবে না। তবে বিশেষভাবে সে দিনে এটা না করাটাই বাঞ্ছনীয়। সে দিনের আগে বা পরে করতে পারে। যাতে করে সে সম্প্রদায়ের সাথে সাদৃশ্য না আসে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “যে ব্যক্তি কোন সম্প্রদায়ের সাথে সাদৃশ্য গ্রহণ করে সে তাদের দলভুক্ত।” আল-জামে আল-আসগার গ্রন্থে বলেন: “যে ব্যক্তি নওরোজের দিন এমন কিছু খরিদ করল যা সে পূর্বে খরিদ করত না, এর মাধ্যমে সে যদি ঐ দিনকে সম্মান করতে চায় তাহলে সে কাফের হয়ে যাবে। আর যদি সে পানাহার ও নেয়ামত ভোগ করতে চায় তাহলে কাফের হবে না”। সমাপ্ত ‘আল-তাজ ওয়াল ইকলিল’ গ্রন্থে বলেন: কোন খ্রিস্টানকে তার ঈদ বা উৎসবের দিন উপলক্ষে উপহার দেয়াকে ইবনুল কাসেম মাকরূহ (অপছন্দনীয়) বলেছেন। অনুরূপভাবে কোন ইহুদীকে তার উৎসব উদযাপন উপলক্ষে খেজুর পাতা দেয়াও মাকরূহ। সমাপ্ত। হাম্বলি মাযহাবের ফিকাহর গ্রন্থ ‘আল-ইকনা’ তে বলা হয়েছে- “ইহুদি-খ্রিস্টানদের উৎসবে যোগদান করা, সেই দিন উপলক্ষে বেচাবিক্রি করা ও উপহার বিনিময় করা হারাম”। সমাপ্ত। বরং এ দিন উপলক্ষে কোন মুসলমানকে হাদিয়া দেয়াও জায়েয নয়। পূর্বোল্লেখিত হানাফি মাযহাবের বক্তব্যে এ কথা এসেছে। শাইখুল ইসলাম (রহঃ) বলেন: যে ব্যক্তি কোন মুসলমানকে এ উৎসবগুলোর মৌসুমে এমন কোন উপহার দেয়, এ উৎসব ছাড়া স্বভাবতঃ যে উপহার দেয়া হয় না—সে উপহার গ্রহণ করা যাবে না। বিশেষতঃ সে উপঢৌকনের মাঝে যদি তাদের সাথে সাদৃশ্য তৈরি করে এমন কিছু থাকে। যেমন- যীশুর জন্মদিবস উপলক্ষে মোমবাতি বা এ জাতীয় কিছু উপহার দেয়া অথবা তাদের রোজার শেষ বৃহস্পতিবারে ডিম, দুধ ও ছাগল উপহার দেয়া। একইভাবে এ উৎসবগুলোর মৌসুমে এ উৎসবগুলোকে উপলক্ষ করে কোন মুসলমানকে উপহার দেয়া যাবে না। বিশেষতঃ উপহারটি যদি তাদের সাথে সাদৃশ্য তৈরি করে এমন কিছু হয়; যেমনটি ইতিপূর্বেই আমরা উল্লেখ করেছি।[ইকতিদাউস সিরাতিল মুস্তাকিম ১/২৭৭] তিন:
আর কাফেরদের উৎসবের দিন তাদের দেয়া উপহার গ্রহণ করতে দোষের কিছু নেই। উপহার গ্রহণ করা— তাদের উৎসবে যোগদান বা এতে স্বীকৃতি প্রদানের পর্যায়ে পড়ে না। বরং ভাল ব্যবহার, সখ্যতা তৈরী, ইসলামের দিকে দাওয়াতের উদ্দেশ্য নিয়ে সে উপহার গ্রহণ করা যাবে। যে কাফের মুসলমানদের বিরুদ্ধে লড়াই করে না আল্লাহ তাআলা সে কাফেরের সাথে ভাল ব্যবহার ও ন্যায্য আচরণ করা বৈধ করেছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন: “ধর্মের ব্যাপারে যারা তোমাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেনি এবং তোমাদেরকে দেশ থেকে বহিষ্কৃত করেনি, তাদের প্রতি সদাচরণ ও ইনসাফ করতে আল্লাহ তোমাদেরকে নিষেধ করেন না। নিশ্চয় আল্লাহ ইনসাফকারীদেরকে ভালবাসেন।”[সূরা মুমতাহিনা, আয়াত:০৮]
কিন্তু ভাল ব্যবহার ও ন্যায্য আচরণের অর্থ এ নয় যে, তাদের সাথে অন্তরঙ্গতা ও ভালবাসা তৈরী হবে। কারণ কাফেরের সাথে অন্তরঙ্গতা ও ভালবাসা করা জায়েয নয়। তাকে বন্ধু ও সাথী হিসেবে গ্রহণ করা যাবে না। যেহেতু আল্লাহ তাআলা বলেন: “যারা আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাস করে, তাদেরকে আপনি আল্লাহ ও তাঁর রসূলের বিরুদ্ধাচরণকারীদের সাথে বন্ধুত্ব করতে দেখবেন না, যদিও তারা তাদের পিতা, পুত্র, ভ্রাতা অথবা জ্ঞাতি-গোষ্ঠী হয়। তাদের অন্তরে আল্লাহ ঈমান লিখে দিয়েছেন এবং তাদেরকে শক্তিশালী করেছেন তাঁর সাহায্য দিয়ে। তিনি তাদেরকে জান্নাতে দাখিল করবেন, যার তলদেশে নদী প্রবাহিত। তারা তথায় চিরকাল থাকবে। আল্লাহ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট এবং তারা আল্লাহর প্রতি সন্তুষ্ট। তারাই আল্লাহর দল। জেনে রাখ, আল্লাহর দলই সফলকাম হবে।”[সূরা আল-মুজাদালা, আয়াত: ২২] তিনি আরও বলেন: “মুমিনগণ, তোমরা আমার ও তোমাদের শত্রুদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না। তোমরা তো তাদের প্রতি বন্ধুত্বের বার্তা পাঠাও, অথচ তারা যে সত্য তোমাদের কাছে আগমন করেছে, তা অস্বীকার করছে।”[সূরা আল-মুমতাহিনা, আয়াত: ১] আল্লাহ তাআলা আরও বলেন: “হে ঈমানদারগণ! তোমরা মুমিন ব্যতীত অন্য কাউকে অন্তরঙ্গরূপে গ্রহণ করো না, তারা তোমাদের অমঙ্গল সাধনে কোন ক্রটি করে না-তোমরা কষ্টে থাক, তাতেই তাদের আনন্দ। শত্রুতাপ্রসুত বিদ্বেষ তাদের মুখেই ফুটে বের হয়। আর যা কিছু তাদের মনে লুকিয়ে রয়েছে, তা আরো অনেকগুণ বেশী জঘন্য। তোমাদের জন্যে নিদর্শন বিশদভাবে বর্ণনা করে দেয়া হলো, যদি তোমরা তা অনুধাবন করতে সমর্থ হও।”[সূরা আলে-ইমরান, আয়াত: ১১৮] আল্লাহ তাআলা আরও বলেন: “আর পাপিষ্ঠদের প্রতি ঝুঁকবে না। নতুবা তোমাদেরকেও আগুনে ধরবে। আর আল্লাহ ব্যতীত তোমাদের কোন বন্ধু নাই। অতএব কোথাও সাহায্য পাবে না।”[সূরা হুদ, আয়াত: ১১৩] তিনি আরও বলেন: “হে মুমিনগণ! তোমরা ইহুদী ও খ্রিস্টানদেরকে বন্ধু হিসাবে গ্রহণ করো না। তারা একে অপরের বন্ধু। তোমাদের মধ্যে যে তাদের সাথে বন্ধুত্ব করবে;সে তাদেরই অন্তর্ভুক্ত। আল্লাহ জালেমদেরকে পথ প্রদর্শন করেন না।” এগুলো ছাড়াও কাফেরের সাথে বন্ধুত্ব ও অন্তরঙ্গতা হারাম হওয়ার ব্যাপারে আরও অনেক দলিল রয়েছে। শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া (রহঃ) বলেন:“কাফেরের উৎসবের দিন তার দেয়া হাদিয়া গ্রহণের ব্যাপারে আমরা ইতিপূর্বে আলী বিন আবু তালেব (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেছি যে, একবার তাঁর কাছে নওরোজের হাদিয়া এল এবং তিনি সেটা গ্রহণ করলেন। ইবনে আবু শাইবা বর্ণনা করেন যে, একবার এক মহিলা আয়েশা (রাঃ) কে জিজ্ঞেস করল, কিছু অগ্নিপূজক মহিলা আমাদের শিশুদেরকে দুধপান করায়। তাদের ঈদ-উৎসবের সময় তারা আমাদেরকে হাদিয়া দেয়। আয়েশা (রাঃ) বললেন: উৎসব উপলক্ষে যা কিছু জবাই করা হয়ে তা খাবে না; কিন্তু তাদের গাছের ফল খেতে পার। আবু বারাযা (রাঃ) থেকে বর্ণিত: কিছু অগ্নিপূজক তাঁর প্রতিবেশী ছিল। তারা নওরোজ ও মেহেরযান উপলক্ষে তাকে হাদিয়া দিত। তখন তিনি তাঁর পরিবারকে বলতেন: ফলজাতীয় জিনিসগুলো খাও; আর অন্যগুলো ফেলে দাও। এ দলিলগুলো প্রমাণ করে যে, কাফেরদের উৎসবের সাথে তাদের হাদিয়া গ্রহণ নিষিদ্ধ হওয়ার কোন সম্পর্ক নেই। বরং সব সময়ের বিধান এক। যেহেতু হাদিয়া গ্রহণের মধ্যে তাদের ধর্মীয় নিদর্শনকে সহযোগিতা করার কিছু নেই। এরপর তিনি দৃষ্টি আকর্ষণ করেন যে, আহলে কিতাবের জবাইকৃত প্রাণী খাওয়া বৈধ হলেও যা উৎসবের জন্য জবাই করা হয়েছে তা খাওয়া জায়েয নয়। তিনি বলেন: আহলে কিতাবদের উৎসবের সেসব খাবার খাওয়া যাবে যেগুলো কিনে আনা হয়েছে, অথবা হাদিয়া হিসেবে এসেছে। তবে উৎসব উপলক্ষে জবাইকৃত প্রাণীর গোশত খাওয়া যাবে না। আর অগ্নিপূজকদের জবাইকৃত পশুর গোশত খাওয়ার বিধান তো সবার জানা আছে— এটা সর্বসম্মতিক্রমে হারাম। আহলে কিতাব (ইহুদি ও খ্রিস্টান) তাদের ঈদ উপলক্ষ্যে যে প্রাণী জবাই করে অথবা গায়রুল্লাহর নৈকট্য হাছিলের উদ্দেশ্যে তারা যে প্রাণী জবাই করে যেমন- ঈসা (আঃ) বা শুক্রতারার নৈকট্য হাছিলের জন্য (ঠিক মুসলমানেরা যেভাবে আল্লাহর নৈকট্য লাভের জন্য জবাই করে) সেগুলোর ব্যাপারে ইমাম আহমাদ থেকে দুইটি অভিমত পাওয়া যায়। তাঁর থেকে বর্ণিত প্রসিদ্ধ মত হচ্ছে- এগুলো খাওয়া জায়েয হবে না; যদিও জবাই এর সময় গায়রুল্লাহর নাম না নেয়া হয়। এই গোশত খাওয়া হারাম হওয়ার হুকুমটি আয়েশা (রাঃ) ও ইবনে উমর (রাঃ) থেকেও বর্ণিত আছে...।[ইকতিযাউস সিরাতিল মুস্তাকিম ১/২৫১] সারকথা হচ্ছে- আপনার খ্রিস্টান প্রতিবেশিনীর দেয়া হাদিয়া গ্রহণ করা জায়েয হবে; তবে কিছু শর্তসাপেক্ষে। শর্তগুলো হচ্ছে-
এক. হাদিয়াটা জবাইকৃত প্রাণীর গোশত হতে পারবে না; যে প্রাণী তাদের ঈদ-উৎসব উপলক্ষে জবাই করা হয়েছে।
দুই. হাদিয়া এমন কিছু হতে পারবে না যা তাদের উৎসব উদযাপনের সাথে সদৃশতা তৈরী করে। যেমন- মোমবাতি, ডিম, খেজুরের ডাল ইত্যাদি। তিন. নিজের সন্তানদেরকে ওয়ালা ওয়াল বারা (শত্রুতা ও মিত্রতা) এর আকিদা পরিষ্কারভাবে বুঝিয়ে বলতে হবে। যাতে তারা এই উৎসবের প্রতি দুর্বল না হয় অথবা এই উপহারের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে না পড়ে। চার. এই উপঢৌকন গ্রহণের উদ্দেশ্য হবে তাদের সাথে সখ্যতা তৈরী করা, তাদেরকে ইসলামের দিকে দাওয়াত দেয়া; তাদের প্রতি ভালবাসা বা হৃদ্যতা থেকে নয়। যদি এমন জিনিস দিয়ে হাদিয়া আসে যা গ্রহণ করা জায়েয নয় তাহলে হাদিয়া গ্রহণ না করার কারণ উল্লেখ করে সেটা প্রত্যাহার করতে হবে। যেমন- আপনি বলতে পারে; আমরা আপনার হাদিয়াটি নিতে পারছি না; কারণ এটি আপনাদের উৎসব উপলক্ষে জবাই করা হয়েছে। আমাদের জন্য এটি খাওয়া জায়েয নয়। অথবা এই হাদিয়াগুলো তারা গ্রহণ করতে পারেন যারা এ উৎসব পালনে অংশ গ্রহণ করেন; আমরা তো আপনাদের এ উৎসব পালন করি না; যেহেতু আমাদের ধর্মে এ উৎসব অনুমোদিত নয়; এ উৎসবের মধ্যে এমন কিছু বিশ্বাস আছে যা আমাদের ধর্মমতে সঠিক নয়— এ ধরনের কোন কথা। এ কথাগুলো তাদেরকে দাওয়াত দেয়ার একটা গ্রাউন্ড তৈরী করবে এবং তারা যে কুফরের মধ্যে রয়েছে এর ভয়াবহতা তুলে ধরবে। মুসলমানের উচিত তার ধর্ম নিয়ে গর্ববোধ করা। ধর্মীয় বিধানগুলো বাস্তবায়ন করা। লজ্জাবোধ করে অথবা সৌজন্য দেখাতে গিয়ে এক্ষেত্রে কোন শৈথিল্য না দেখানো। বরং আল্লাহকে লজ্জাবোধ করা অধিক যুক্তিযুক্ত।
আরও জানতে 13642 ও 947 নং প্রশ্ন দেখুন।
আল্লাহই ভাল জানেন।