সোমবার 22 জুমাদাল ছানী 1446 - 23 ডিসেম্বর 2024
বাংলা

‘ঈদুল আবরার’ নামক বিদাত

প্রশ্ন

প্রশ্ন: প্রতি বছর শাওয়াল মাসে ‘ঈদুল আবরার’ নামে যে ঈদ পালন করা হয় এর হুকুম কী?

উত্তর

আলহামদু লিল্লাহ।.

শাওয়াল মাসে যে বিদাতগুলো সংঘটিত হয়ে থাকে এর মধ্যে রয়েছে- ‘ঈদুল আবরার’ নামক বিদাত। যা শাওয়াল মাসের ৮ তারিখে ঘটে থাকে। লোকেরা রমযান মাসের রোযা রাখার পর শাওয়াল মাসের ১ তারিখে ঈদুল ফিতরের দিন রোযা ভাঙ্গে। এরপর শাওয়ালের ছয় রোযা রাখা শুরু করে এবং ৮ তারিখে ঈদ উদযাপন করে। এ ঈদকে তারা ‘ঈদুল আবরার’ আখ্যায়িত করে থাকে।

শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া (রহঃ) বলেন: “শরিয়ত প্রদত্ত নয় এমন কোন মৌসুম গ্রহণ করা বিদাতের অন্তর্ভুক্ত, যেটাকে সলফে সালেহিন মুস্তাহাব জানতেন না এবং তা তারা পালন করতেন না। যেমন- রবিউল আউয়াল মাসের কোন একটি রাত; যে রাতকে মিলাদুন্নবীর রাত বলা হয়, রজবের কোন একটি রাত, যিলহজ্জ মাসের ৮ তারিখ, রজব মাসের প্রথম জুমাবার ও শাওয়াল মাসের ৮ তারিখ; যে দিনকে মূর্খ লোকেরা ‘ঈদুল আবরার’ বলে থাকে । আল্লাহ্‌ সুবহানাহু তায়ালা ভাল জানেন।[শাইখুল ইসলাম এর ‘মাজমুউল ফাতওয়া’ (২৫/২৯৮)]

তিনি আরও বলেন: “শাওয়াল মাসের ৮ তারিখ নেককারদের ঈদও নয়; বদকারদের ঈদও নয়। কোন ব্যক্তির জন্য এ দিনকে ঈদ বিশ্বাস করা এবং এ দিনে ঈদের কোন আলামত জাহির করা জায়েয হবে না।” [আল-ইখতিয়ারাত আল-ফিকহিয়্যা, পৃষ্ঠা-১৯৯]

এই ঈদ কোন একটি নামকরা মসজিদে উদযাপনের আয়োজন করা হয়। সেখানে নারী-পুরুষের অবাধ সংমিশ্রণ ঘটে। তারা একে অপরের সাথে মুসাফাহা করে। মুসাফাহাকালে কিছু জাহেলি কথাবার্তা উচ্চারণ করে। এরপর তারা এ উপলক্ষ্যে বিশেষ কিছু খাবার-দাবার প্রস্তুত করতে চলে যায়।[শুকাইরির লিখিত ‘আস-সুনান ওয়াল মুবতাদাআত, পৃষ্ঠা-১৬৬]

সূত্র: শাইখ আব্দুল্লাহ্‌ বিন আব্দুল আযিয বিন আহমাদ আল-তুয়াইজিরি রচিত ‘আল-বিদা আল-হাওলিয়্যা’ পৃষ্ঠা-৩৫০