আলহামদু লিল্লাহ।.
আলহামদু লিল্লাহ্।হ্যাঁ। অর্থ না বুঝলেও মুমিন নর-নারীর জন্য কুরআন পড়া জায়েয। তবে অর্থ বুঝার জন্য চিন্তা-ভাবনা করা ও বুঝার চেষ্টা করা শরিয়তে গ্রাহ্য। যদি ব্যক্তির বুঝার মত যোগ্যতা থাকে তাহলে সে তাফসির গ্রন্থগুলো পড়তে পারে। আরবী ভাষার উপর লিখিত গ্রন্থগুলোতে নজর দিতে পারে। যাতে করে সে কুরআন বুঝে উপকৃত হতে পারে। কোন প্রশ্নের উদ্রেক হলে আলেমদেরকে জিজ্ঞেস করতে পারে। মোটকথা, কুরআনকে অনুধাবন করা। কেননা আল্লাহ্ তাআলা বলেছেন, “এক মুবারক কিতাব, এটা আমরা আপনার প্রতি নাযিল করেছি, যাতে মানুষ এর আয়াতসমূহে তাদাব্বুর করে (গভীরভাবে চিন্তা করে) এবং যাতে বোধশক্তিসম্পন্ন ব্যক্তিরা উপদেশ গ্রহণ করে।”[সূরা সোয়াদ, আয়াত: ২৯]
মুমিন ব্যক্তি কুরআন তাদাব্বুর করবে। অর্থাৎ গুরুত্ব দিয়ে কুরআন পড়বে এবং কুরআনের অর্থ নিয়ে চিন্তাভাবনা করবে। অর্থ বুঝার চেষ্টা করবে। এভাবে কুরআন থেকে উপকৃত হবে। যদি পরিপূর্ণ অর্থ তার বুঝে নাও আসে; কিন্তু অনেকটুকু সে বুঝতে পারবে। কিন্তু সে বুঝে বুঝে পড়বে। অনুরূপভাবে মুমিন নারীও এটা করবে; যাতে করে সে আল্লাহ্র কালাম থেকে উপকৃত হতে পারে। এবং যাতে করে আল্লাহ্ তাআলার উদ্দেশ্য বুঝতে পারে এবং সে অনুযায়ী আমল করতে পারে। আল্লাহ্ তাআলা বলেন: “তবে কি তারা কুরআন নিয়ে তাদাব্বুর করে না (গভীর চিন্তা করে না)? নাকি তাদের অন্তরসমূহে তালা রয়েছে?”[সূরা মুহাম্মদ, আয়াত: ২৪]
সুতরাং জানা গেল, আমাদের রব্ব আমাদেরকে তাঁর বাণী বুঝে বুঝে, চিন্তাভাবনা করে পড়ার প্রতি উদ্বুদ্ধ করেছেন। তাই মুমিন নর-নারীর জন্য আল্লাহ্র কিতাব চিন্তাভাবনাসহ, বুঝে বুঝে, গুরুত্বসহকারে পড়া শরিয়তে গ্রাহ্য। যাতে করে সে আল্লাহ্র কালাম থেকে উপকৃত হতে পারে, কথাগুলো বুঝতে পারে এবং সে অনুযায়ী আমল করতে পারে। এ ক্ষেত্রে ব্যক্তি তাফসির গ্রন্থগুলোর সহযোগিতা নিবে; যে গ্রন্থগুলো আলেমগণ রচনা করেছেন। যেমন- তাফসিরে ইবনে কাছির, তাফসিরে ইবনে জারির, তাফসিরে বাগাভী, তাফসিরে শাওকানি ইত্যাদি। এছাড়া আরবী ভাষার উপর লিখিত গ্রন্থগুলোরও সহায়তা নিবে। আর কোন প্রশ্নের উদ্রেক হলে ইলম ও মর্যাদায় খ্যাতিমান আলেমদেরকে জিজ্ঞেস করবে।
শাইখ আব্দুল আযিয বিন বায (রহঃ)