আলহামদু লিল্লাহ।.
ব্যবসায়িক পণ্যের যাকাতের ক্ষেত্রে ওয়াজিব হলো এক বছর পূর্ণ হলে যে দামে বিক্রি করা হয় সেই দামে পণ্যগুলোর মূল্য নির্ধারণ করা। যদি পণ্যসামগ্রীর মালিকানা অংশদারিত্বে হয় এবং তাদের একজনের যাকাত বর্ষ পূর্ণ হয় তাহলে সকল পণ্যের মূল্য নির্ধারণ করতে হবে এবং এর মধ্যে তার অংশ কতটুকু সেটা দেখতে হবে; উদাহরণস্বরূপ কারো ভাগ এক চতুর্থাংশ বা অর্ধেক। যদি তার অংশের মূল্য এককভাবে নিসাব পরিমাণে পৌঁছে কিংবা অন্য ব্যবসায়িক সম্পদ, নগদ অর্থ, স্বর্ণ বা রৌপ্য যোগ করার পর নিসাব পরিমাণে পৌঁছে তাহলে সে যাকাত পরিশোধ করবে।
ব্যবসায়িক পণ্যের যাকাত দেয়ার ক্ষেত্রে বিক্রির সময়ের ট্রান্সফোর্ট খরচ, শ্রমিকদের বেতন, দোকানের ভাড়া ও বিদ্যুতের খরচ ইত্যাদির দিকে ভ্রুক্ষেপ করা হবে না। বরঞ্চ অগ্রগণ্য মতানুযায়ী যাকাতদাতার উপর যে ঋণ আছে সেটাও বাদ দেয়া হবে না; এমনকি যদি পণ্যগুলো বাকীতে খরিদ করা হয় তবুও।
বরঞ্চ দেখা হবে শুধু পণ্যগুলোর বাজারমূল্যের দিকে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে বাজারমূল্য আর যেই দামে বিক্রি করা হয় উভয়টি সমান হয়।
এটিও অজানা নয় যে, সেই ব্যক্তি কেবল সেই পণ্যগুলোর যাকাত পরিশোধ করবেন বর্ষ পূর্ণ হওয়ার সময় যেই পণ্যগুলো তার কাছে রয়েছে। যদিও হতে পারে সেই ব্যক্তি পণ্যের মূল্য দিয়ে অন্য পণ্য খরিদ করেন এবং এক বছরকালে এটি চক্রাকারে বহুবার ঘুরতে থাকে। কিন্তু সেই ব্যক্তি শুধু একবার যাকাত পরিশোধ করবেন এবং তিনি বর্ষপূর্তির সময় তার কাছে যে পণ্যগুলো আছে সেগুলোর যাকাতই পরিশোধ করবেন। আর লাভ ও ঘূর্ণয়মান অর্থ খরচাদির দিকটিকে কভার করবে।
পূর্বোক্ত আলোচনার প্রেক্ষিতে যদি বর্ষ পূর্ণ হওয়ার সময় পণ্যের মূল্য হয় ৩৪ পাউন্ড এবং যাকাতদাতা পণ্যের এক চতুর্থাংশের মালিক হন তাহলে তার অংশ হচ্ছে ৮.৫। যদি তার অংশের মূল্য এককভাবে কিংবা যাকাতদাতার মালিকানাধীন অন্য অর্থের সাথে মিলালে নিসাব পরিমাণে পৌঁছে তাহলে তিনি চল্লিশ ভাগের একভাগ যাকাত পরিশোধ করবেন।
আল্লাহই সর্বজ্ঞ।