শুক্রবার 21 জুমাদাল আউওয়াল 1446 - 22 নভেম্বর 2024
বাংলা

রোযার শুরুতে দোয়া করার বিশেষ কোন দোয়া নাই

প্রশ্ন

রোযার শুরুতে আমরা কোন দোয়া দিয়ে দোয়া করতে পারি?

উত্তর

আলহামদু লিল্লাহ।.

ইমাম তিরমিযি (হাদিস নং-৩৪৫১) তালহা বিন উবাইদুল্লাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন নতুন চাঁদ দেখতেন তখন তিনি বলতেন: 

اللَّهُمَّ أَهْلِلْهُ عَلَيْنَا بِالْيُمْنِ وَالإِيمَانِ ، وَالسَّلامَةِ وَالإِسْلامِ ، رَبِّي وَرَبُّكَ اللَّهُ

(হে আল্লাহ্‌! বরকত ও ঈমান দিয়ে এবং নিরাপত্তা ও ইসলাম দিয়ে আমাদের ওপর তাকে (চন্দ্রকে) উদিত করুন। আমার ও তোমার রব হচ্ছেন আল্লাহ্‌)[আলবানী সহিহুত তিরমিযি গ্রন্থে (২৭৪৫) হাদিসটিকে সহিহ বলেছেন]

এই দোয়াটি রমযানের চাঁদের সাথে খাস নয়। বরং প্রত্যেক মাসের শুরুতে যখনই কোন মুসলিম নতুন চাঁদ দেখবে তখনই বলবেন।

পক্ষান্তরে, প্রতিদিন রোযার শুরুতে দোয়া করার বিশেষ কোন দোয়া নেই।

বরং ব্যক্তি অন্তরে আগামীকাল রোযা রাখার নিয়ত করবেন।

নিয়তের ক্ষেত্রে শর্ত হলো: রাত থেকে, ফজর হওয়ার আগেই নিয়ত করা। যেহেতু নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: "যে ব্যক্তি ফজরের আগে রোযার নিয়ত পাকাপোক্ক করেনি তার রোযা নেই"।[সুনানে তিরমিযি (৭৩০)] আর সুনানে নাসাঈ (২৩৩৪)-এর ভাষ্য হচ্ছে- "যে ব্যক্তি রাতের বেলায় রোযার নিয়ত করেনি তার রোযা নেই।"[আলবানী সহিহুত তিরমিযি গ্রন্থে (৫৮৩) হাদিসটিকে সহিহ বলেছেন]

হাদিসটির মর্ম হচ্ছে: যে ব্যক্তি রাত থেকে রোযার নিয়ত করেনি এবং রোযা পালনের পাকাপোক্ক সিদ্ধান্ত নেয়নি তার রোযা নেই।

নিয়ত হচ্ছে অন্তরের কাজ। তাই একজন মুসলিম অন্তরে আগামীকাল রোযা রাখার দৃঢ় সিদ্ধান্ত নিবেন। নিয়ত উচ্চারণ করা শরিয়তসম্মত নয়। যেমন এভাবে বলা: আমি আগামীকল্য রোযা রাখার নিয়ত করেছি কিংবা এ জাতীয় কোন কথা যেগুলো কিছু মানুষের উদ্ভাবিত বিদাত

আল্লাহই সর্বজ্ঞ।

সূত্র: ইসলাম জিজ্ঞাসা ও জবাব