আমরা আশা করছি, আপনাদের ওয়েবসাইট Islam Q&A (ইসলাম জিজ্ঞাসা ও জবাব) কে সাপোর্ট দেয়ার জন্য মুক্তহস্তে দান করবেন; যাতে করে ইনশা আল্লাহ্ ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহর সেবায় আপনাদের ওয়েবসাইট তার পথ চলা অব্যাহত রাখতে পারে।
ঈমান হচ্ছে- আল্লাহ্র প্রতি ঈমান, ফেরেশতাদের প্রতি ঈমান, কিতাবসমূহের প্রতি ঈমান, শেষ দিবসের প্রতি ঈমান ও ভাল-মন্দের তাকদীরের প্রতি ঈমান। আবার রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালামের বাণী হচ্ছে: “ঈমানের শাখা সত্তরাধিক”। এতোদুভয়ের মাঝে আমরা কিভাবে সমন্বয় করতে পারি?
আলহামদু লিল্লাহ।.
ঈমান বলতে যা আকিদা সেটার মূলভিত্তি ছয়টি। যে ভিত্তিগুলো হাদিসে জিব্রাইল-এ জিব্রাইল (আঃ) কর্তৃক নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে প্রশ্নের প্রেক্ষিতে উদ্ধৃত হয়েছে যে: “ঈমান হচ্ছে: আল্লাহ্র প্রতি ঈমান আনা, ফেরেশতাদের প্রতি ঈমান আনা, রাসূলদের প্রতি ঈমান আনা, শেষ দিবসের প্রতি ঈমান এবং ভাল-মন্দের তাকদীরের প্রতি ঈমান।”[সহিহ বুখারী ও সহিহ মুসলিম]
পক্ষান্তরে, যে ঈমান আমল ও আমলের প্রকারগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করে সেটার শাখা সত্তরাধিক। এ কারণেই আল্লাহ্ তাআলা নামাযকে ঈমান হিসেবে উল্লেখ করেছেন তাঁর এ বাণীতে: “আর আল্লাহ্ তো তোমাদের ঈমান (নামায) নষ্ট করতে পারেন না। আল্লাহ্ নিঃসন্দেহে মানুষের প্রতি অত্যন্ত স্নেহপরায়ণ, পরম দয়ালু।”[সূরা বাকারা, ২:১৪৩] তাফসিরকারগণ বলেন: ‘তোমাদের ঈমান’ মানে বায়তুল মুকাদ্দাসের দিকে ফিরে তোমাদের নামায। কেননা সাহাবায়ে কেরাম কাবা অভিমুখী হয়ে নামায আদায় করার আগে মসজিদে আকসার দিকে ফিরে নামায আদায় করার প্রতি আদিষ্ট ছিলেন।