আলহামদু লিল্লাহ।.
আলহামদুলিল্লাহ।যিনি হজ্ব করার ইচ্ছা করেন হজ্ব করার পদ্ধতি শিখে নেয়াতাঁর উপর ফরজ। অন্ততঃপক্ষে সুন্নাহর অনুসারী নির্ভরযোগ্য কোন একজন আলেমের সহজ সরল ছোট্ট একটি কিতাব সাথে রাখা এবং সে কিতাব অনুযায়ী আমলগুলো সম্পন্ন করা। এ ধরনের কিতাবগুলোর মধ্যে রয়েছে-
১. শাইখ বিন বাযের “আত তাহকীক ওয়াল ঈযাহ লি কাছিরিন মিন মাসায়িলিল হাজ্ব ওয়াল উমরা”।
২. শাইখ উছাইমীনের “মানাসিকুল হাজ্ব ওয়াল উমরা”।
কোন বিষয় বুঝতে অসুবিধা হলে আলেমদেরকে জিজ্ঞেস করা। কোন একজন আলেম বা তালিবে ইলমের সঙ্গে হজ্ব যাওয়া।যেন সে আলেম বা তালেবে ইলম আগে থেকেই তাঁকে বিধিবিধানগুলো শিখিয়ে দিতে পারেন। যে কাফেলাগুলোর সাথে কোন দায়ী বা তালিবে ইলম হজ্ব করে থাকেন সেগুলোর অনুসন্ধান করে সে রকম কোন কাফেলার সাথে হজ্বে যাওয়া। শাইখ উছাইমীনকে ধরনের একটি প্রশ্ন জিজ্ঞেস করা হলে জবাবে তিনি বলেন:
আল্লাহ তাআলা তাঁর কালামে পাকে এই প্রশ্নের যে জবাব দিয়েছেন এই প্রশ্নের ব্যাপারে আমারও সেই জবাব“তোমরা না জানলে আলেমগণকে জিজ্ঞেস কর।”[সূরা নাহল, আয়াত: ৪৩] যে ব্যক্তি কোন ইবাদতের বিধিবিধান জানেন না তার কর্তব্য হলো আলেমগণকে জিজ্ঞেস করা; যাতে করে তিনি সুস্পষ্ট জ্ঞানের ভিত্তিতে আল্লাহর ইবাদত করতে পারেন। কারণ ইবাদত কবুলের শর্ত হচ্ছে- আল্লাহর প্রতি একনিষ্ঠতাও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আদর্শেরপূর্ণ অনুসরণ। রাসূলসাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কিভাবে কোন বাচনিক ইবাদত বা কর্মকেন্দ্রিক ইবাদত পালন করতেন তা জানতে হবে। তা না জানলে তাঁকে অনুসরণ করা সম্ভব নয়। তাই আমি এ প্রশ্নকারীকে বলব: আপনি যখনহজ্ব করতে চান অথচ হজ্বের বিধিবিধান আপনার জানা নেইএমতাবস্থায় আপনার উপর ফরজ এ সম্পর্কে আলেমগণকে জিজ্ঞেস করা। আমি এ ব্যাপারেও তাগিদ দিচ্ছি যারা হজ্বে যেতে চান তারা যেন কোন আলেমের সঙ্গে বা তালিবে ইলমের সঙ্গে হজ্বে যান;যে আলেম বা তালিবে ইলম হজ্বের সাথে সংশ্লিষ্ট মাসয়ালাগুলো জানেন।যাতে করে তারা সে আলেমের নির্দেশনা মোতাবেক হজ্ব আদায় করতে পারেন।
শাইখ উছাইমীনের ফতোয়াসমগ্র (২২/৫০)