আলহামদু লিল্লাহ।.
সুন্নত হলো: রোযাদার অবিলম্বে ইফতার করা; যদি সূর্য অস্ত যাওয়া নিশ্চিত হয়। যেহেতু হাদিসে এসেছে: “যতদিন মানুষ অবিলম্বে ইফতার করবে ততদিন তারা কল্যাণে থাকবে”। এবং হাদিস “আল্লাহ্র সর্বাধিক প্রিয় বান্দা হচ্ছে যে অবিলম্বে ইফতার করে”। রোযাদারের অধিক পূর্ণাঙ্গ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে: কয়েকটি খেজুর দিয়ে ইফতার করা। এরপর অবশিষ্ট খাবার মাগরিবের নামাযের পর গ্রহণ করা। এতে করে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের অনুকরণে অবিলম্বে ইফতার করা ও মাগরিবের নামায প্রথম ওয়াক্তে জামাতের সাথে আদায় করা উভয় সুন্নতের উপর আমল করা যাবে।
পক্ষান্তরে, “খাবারের উপস্থিতিতে নামায নেই এবং পায়খানা-পেশাবকে আটকে রেখে নামায নেই” হাদিস এবং “যদি রাতের খাবার উপস্থিত হয় এবং এশার নামাযও উপস্থিত হয়; তাহলে রাতের খাবার দিয়ে শুরু করুন” হাদিস এবং এ অর্থবোধক অন্য হাদিসগুলো থেকে উদ্দেশ্য হলো: যে ব্যক্তির সামনে খাবার পেশ করা হয়েছে কিংবা তিনি খাবারের সামনে হাযির হয়েছেন; তিনি নামাযের আগে খাবার গ্রহণ করবেন। যাতে করে তিনি এমতাবস্থায় নামাযে আসতে পারেন যে, তার মন খাবারের প্রতি উন্মুখ থাকা থেকে মুক্ত। যাতে করে মনোযোগী অন্তর নিয়ে নামায পড়তে পারেন। কিন্তু, তার জন্য এটি সমীচীন নয় যে, তিনি নামায পড়ার আগে খাবার হাযির করতে বা পেশ করতে বলবেন; যদি এটি করলে প্রথম ওয়াক্তে নামায আদায় করা কিংবা জামাতের সাথে নামায আদায় করা ছুটে যায়।
আল্লাহই তাওফিকদাতা, আমাদের নবী মুহাম্মদ, তাঁর পরিবার-পরিজন ও সাহাবীবর্গের প্রতি আল্লাহ্র রহমত ও শান্তি বর্ষিত হোক।”[সমাপ্ত]
গবেষণা ও ফতোয়া বিষয়ক স্থায়ী কমিটি
শাইখ আব্দুল আযিয বিন বায, শাইখ আব্দুল আযিয আলুশ শাইখ, শাইখ আব্দুল্লাহ্ বিন গাদইয়ান, শাইখ সালেহ আল-ফাওযান, শাইখ বকর আবু যাইদ।
[ফাতাওয়াল লাজনাদ দায়িমা, আল-মাজমুআ আছ-ছানিয়া (৯/৩২)]