আলহামদু লিল্লাহ।.
এক:
ইতিপূর্বে কয়েকটি ফতোয়ায় ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের বিধান, কোন কোন ধরণের ক্রেডিট কার্ড জায়েয, কোন ধরণের ক্রেডিট কার্ড জায়েয নয়— সেসব বর্ণনা করা হয়েছে।
এবং ইতিপূর্বে এ বিষয়ও আলোচিত হয়েছে যে, ক্রেতা ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে মূল্য পরিশোধ করলে বিক্রেতার জন্য সেটা গ্রহণ করা জায়েয; যেমনটি আজকাল অনেক ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানেই চালু আছে। কারণ বিক্রেতা কোন হারাম লেনদেন করেননি; শুধু তার পাওনাটা গ্রহণ করেছে।
আপনার প্রশ্নের অংশ বিশেষ: "ক্রেতার সম্পদ যদি হারাম হয়, সে যদি নেটের মাধ্যমে আমার বইটি কেনে এবং আমি সে সম্পদের মালিক হই—এতে করে কি আমার গুনাহ হবে?"
জবাব: আপনার বিক্রি সঠিক। আপনার কোন গুনাহ হবে না। কেননা বিক্রেতার উপর আবশ্যক নয় যে, ক্রেতাকে তার সম্পদের উৎস সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা কিংবা এ সম্পর্কে অনুসন্ধান করা। কারণ প্রত্যেক ব্যক্তির কাছে যে সম্পদ আছে সেটার মূল বিধান হচ্ছে—সেটা তার সম্পদ; যতক্ষণ পর্যন্ত না এর বিপরীত কোন প্রমাণ প্রতিষ্ঠিত হয়।
কোন মানুষ যদি হারাম পন্থায় কিছু সম্পদ অর্জন করে এর কারণে তার সাথে আর্থিক লেনদেন নিষিদ্ধ নয়। কারণ ইহুদীরা সুদি কারবার করা সত্ত্বেও মুসলমানেরা তাদের সাথে লেনদেন করত।
ইবনে রজব (রহঃ) বলেন: "নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও তাঁর সাহাবীবর্গ মুশরিকদের ও ইহুদী-খ্রিস্টানদের সাথে লেনদেন করতেন; এটা জানা সত্ত্বেও যে, তারা সকল হারাম থেকে বেঁচে থাকে না।"[জামেউল উলুম ওয়াল হিকাম (পৃষ্ঠা-১৭৯)]
শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া (রহঃ) বলেন: "মুসলমান, ইহুদী ও খ্রিস্টানদের হাতে যে সব সম্পদ রয়েছে, যার ব্যাপারে প্রমাণের ভিত্তিতে কিংবা আলামতের ভিত্তিতে জানা যায় না যে, এগুলো আত্মসাৎকৃত সম্পদ কিংবা নাজায়েয পদ্ধতিতে হস্তগত সম্পদ—কোন সন্দেহ নেই যে, তাদের সাথে সে সব সম্পদে লেনদেন করা জায়েয। ইমামদের মাঝে এ নিয়ে আমি কোন মতভেদ জানি না।"[মাজমুউল ফাতাওয়া (২৯/৩২৭)]
আল্লাহ্ই সর্বজ্ঞ।