বৃহস্পতিবার 6 জুমাদাল আউওয়াল 1446 - 7 নভেম্বর 2024
বাংলা

স্থান পরিবর্তন করার মাধ্যমে এক নফল নামায থেকে অন্য নফল নামাযকে আলাদা করা কি সুন্নত?

প্রশ্ন

যোহরের নামাযের আগে প্রথম দুই রাকাত সুন্নত নামায আদায় করার পর পরের দুই রাকাত সুন্নত নামাযের জন্য স্থান পরিবর্তন করা কি ঠিক, যাতে করে সওয়াব পাওয়া যায়? যেহেতু এ নামাযদ্বয় এক শ্রেণীয়; নাকি স্থান পরিবর্তনের এ সুন্নত শুধু ফরজ নামায ও সুন্নত নামাযের মাঝে প্রযোজ্য?

আলহামদু লিল্লাহ।.

ইতিপূর্বে 116064 নং প্রশ্নোত্তরে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ফরজ নামায ও নফল নামাযের মাঝে কোন কথা বলে কিংবা স্থান পরিবর্তন করে একটা ভেদ তৈরী করা মুস্তাহাব। আলেমগণ এর হেকমত উল্লেখ করতে গিয়ে বলেন: যাতে করে মুসলমান তার সেজদার স্থানের সংখ্যা বাড়াতে পারে; যেন হাশরের দিন এ স্থানগুলো তার পক্ষে সাক্ষ্য দেয়।

হাদিসে এসেছে- ফরজ নামাযের পর যে ব্যক্তি নফল নামায পড়তে চায় সে যেন স্থান পরিবর্তন করে নেয়। আমাদের জানা মতে দুই নফল নামাযের ব্যাপারে এমন কিছু বর্ণিত হয়নি। তবে কেউ যদি দুই নফল নামাযের মাঝেও সেটা করতে চায় যেমন যে ব্যক্তি চার রাকাত নফল নামায পড়তে চায় সে যদি প্রথম দুই রাকাত আদায় করার পর স্থান পরিবর্তন করে যাতে করে তার সেজদার স্থান বৃদ্ধি পায় তাতে কোন সমস্যা নেই।

শাইখ বিন বায (রহঃ) যোহরের ফরজ নামাযের পূর্বে চার রাকাত সুন্নত নামায আদায় করা প্রসঙ্গে বলেন: উত্তম হচ্ছে- দুই রাকাত দুই রাকাত করে আদায় করা। যেহেতু সহিহ হাদিসে এসেছে- “রাত্রির নামায হচ্ছে দুই রাকাত দুই রাকাত”। পক্ষান্তরে সামনে পিছে, ডানে বা বায়ে যাওয়া প্রসঙ্গে কিছু কিছু দুর্বল হাদিস এসেছে। এটি সুন্নত হওয়া প্রসঙ্গে আমি কোন দলিল জানি না। কিছু দুর্বল হাদিসে সামনে এগিয়ে যাওয়া বা পিছনে যাওয়া, ডানে যাওয়া ও বামে যাওয়ার প্রসঙ্গ এসেছে। কোন কোন আলেম বলেন: এটি করার কথা এসেছে যাতে করে স্থানগুলো এ ইবাদতের পক্ষে সাক্ষ্য দেয়। কিন্তু এ ব্যাপারে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে কোন হাদিস সাব্যস্ত হয়েছে মর্মে আমার জানা নেই। যদি সুন্নত নামায একই স্থানে আদায় করে এতে কোন অসুবিধা নেই। প্রথম দুই রাকাত আদায় করার পর পরের দুই রাকাত আদায় করার জন্য স্থান পরিবর্তন করা মুস্তাহাব হওয়ার পক্ষে কোন দলিল আমার জানা নেই; ডানে বায়ে পিছনে কোন ক্ষেত্রেই নয়। তবে যদি এটা করে তাতেও কোন অসুবিধা নেই।[নুরুন আলাদ দারব ফতোয়াসমগ্র থেকে সংকলিত (১০/২৯৬)]

আল্লাহই ভাল জানেন।

সূত্র: ইসলাম জিজ্ঞাসা ও জবাব