আলহামদু লিল্লাহ।.
সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ্র জন্য। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের উপর আল্লাহর রহমত ও শান্তি বর্ষিত হোক। অতপরঃ
আপনার উপর তিনটি বিষয় ওয়াজিব:
এক.
এ বিলম্ব করা থেকে আল্লাহ্র কাছে তাওবা করা এবং ইতিপূর্বে যে কসুর ঘটেছে সেটার জন্য অনুতপ্ত হওয়া এবং ভবিষ্যতে পুনরায় এমন কিছুতে লিপ্ত না হওয়ার ব্যাপারে দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ হওয়া। যেহেতু আল্লাহ্ তাআলা বলেন: "হে মুমিনরা তোমরা সকল গুনাহ থেকে তাওবা কর; যাতে করে তোমরা কল্যাণপ্রাপ্ত হও।"[সূরা নূর, আয়াত: ৩১] আপনি যে বিলম্ব করেছেন এটি গুনাহ। সুতরাং এ গুনাহ থেকে তাওবা করা ওয়াজিব।
দুই.
অনুমানিক সংখ্যক রোযা অবিলম্বে সম্পন্ন করা। যেহেতু আল্লাহ্ কাউকে তার সাধ্যের বাইরে দায়িত্বারোপ করেন না। তাই আপনার ধারণায় যে কয়দিনের রোযা আপনি রাখেননি সে কয়দিনের রোযা কাযা পালন করুন। যদি ধারণা হয় যে, দশদিনের রোযা তাহলে দশদিন রোযা রাখুন। যদি ধারণা হয় এর চেয়ে বেশি কিংবা কম তাহলে আপনার ধারণা মোতাবেক রোযাগুলো পালন করুন। দলিল হচ্ছে আল্লাহ্র বাণী: "আল্লাহ্ কাউকে তার সাধ্যের বাইরে দায়িত্বারোপ করেন না।"[সূরা বাক্বারা, ২:২৮৬] এবং তাঁর বাণী: "তোমরা সাধ্যানুযায়ী আল্লাহ্কে ভয় কর"।[সূরা তাগাবুন, ৬৪: ১৬]
তিন.
যদি আপনার সামর্থ্য থাকে তাহলে প্রতিদিনের বদলে একজন মিসকীনের খাদ্য দান করুন। সবদিনের খাদ্য একজন মিসকীনকে দিলেও চলবে। আর যদি আপনি গরীব হন এবং খাদ্য দান করতে না পারেন; তাহলে সেক্ষেত্রে আপনার উপর রোযা রাখা ও তাওবা করা ছাড়া অন্য কিছু আবশ্যক হবে না। সামর্থ্যবানকে খাদ্য দিতে হবে প্রতিদিনের বদলে স্থানীয় খাদ্যদ্রব্যের অর্ধ সা'। এর পরিমাণ হচ্ছে- দেড় কিলো। আল্লাহ্ই তাওফিকদাতা।