আলহামদু লিল্লাহ।.
যে ব্যক্তির কাছে নিসাব পরিমান স্বর্ণ রয়েছে এরপর বছরের মাঝখানে নতুন স্বর্ণ ক্রয় করে কিংবা হাদিয়া পায় কিংবা অন্য কোনভাবে পায় সেক্ষেত্রে সে নতুন স্বর্ণের জন্য আলাদা বছর হিসাব করবে; যেদিন কিনেছে কিংবা হাদিয়া পেয়েছে সেদিন থেকে।
এর আলোকে সে ব্যক্তি পুরাতন স্বর্ণের বর্ষপুর্তি হলে সেটার যাকাত আদায় করবে এবং নতুন স্বর্ণ যে দিন থেকে তার মালিকানায় এসেছে সে দিন থেকে হিসাব করে যখন বর্ষপুর্তি হবে তখন সেটার যাকাত আদায় করবে।
আর যদি তিনি চান পুরাতন স্বর্ণের বর্ষপুর্তি হলে সকল স্বর্ণের যাকাত একত্রে আদায় করতে পারেন। সেক্ষেত্রে তিনি নতুন স্বর্ণের যাকাত বর্ষপুর্তির আগেই দিয়ে দিলেন। এভাবে দেয়া জায়েয আছে। এটাকে অগ্রিম যাকাত পরিশোধ বলা হয়।
শাইখ উছাইমীনকে প্রশ্ন করা হয়েছিল যে, যদি কেউ নতুন স্বর্ণ খরিদ করে এবং পূর্ব থেকে থাকা স্বর্ণ যেটার উপর যাকাত ফরয হয়েছে সেটার সাথে এটাকে যোগ করে?
জবাবে তিনি বলেন: যদি বছরের মাঝখানে স্বর্ণ খরিদ করে যাকাত আদায়ের ক্ষেত্রে সে স্বর্ণকে আগের স্বর্ণের সাথে মিশাবে না। বরং এই স্বর্ণের আলাদা বর্ষ গণনা করবে। আর চাইলে আগের স্বর্ণের সাথেও মিলিয়ে ফেলতে পারেন এবং উভয় স্বর্ণের যাকাত একই সময়ে আদায় করে দিতে পারেন। তাতেও কোন অসুবিধা নাই। সেক্ষেত্রে এই স্বর্ণের যাকাত অগ্রিম প্রদান করা হল।
প্রশ্নকারী: যদি নতুন স্বর্ণ নিসাবের চেয়ে কম হয়?
শাইখ: যেটা খরিদ করা হয়েছে সেটা যদি নিসাবের চেয়েও কম হয় সেটাকে আগের স্বর্ণের সাথে মিলিয়ে নিসাব হিসাব করবে। আর বর্ষ গণনা করার ক্ষেত্রে প্রত্যেকটির বর্ষ আলাদাভাবে হিসাব করবে; যদি না উভয় স্বর্ণের যাকাত একত্রে একই সময়ে পরিশোধ করতে না চায়।[লিকাউল বাব আল-মাফতুহ থেকে সমাপ্ত]
আল্লাহ্ই সর্বজ্ঞ।