আলহামদু লিল্লাহ।.
যদি কোন ঋণ তাৎক্ষণিকভাবে পরিশোধ করা আবশ্যক হয় তাহলে হজ্জের উপর সে ঋণকে প্রাধান্য দেয়া হবে; যেহেতু হজ্জ ফরয হওয়ার আগেই ঋণ হয়েছে। তাই আগে ঋণ পরিশোধ করে তারপর হজ্জ আদায় করবে। যদি ঋণ পরিশোধ করার পর তার কাছে কোন কিছু না থাকে তাহলে আল্লাহ্ তাকে সম্পদশালী করা পর্যন্ত অপেক্ষা করবে। আর যদি নিয়মতান্ত্রিক মেয়াদী ঋণ হয় এবং ব্যক্তি নিজের ব্যাপারে নিশ্চিত হয় যে, ঋণ পরিশোধের সময় হলে সে পরিশোধ করতে পারবে তাহলে এ ঋণ হজ্জ ফরয হওয়াকে বাধাগ্রস্ত করবে না; এক্ষেত্রে ঋণদাতা তাকে অনুমতি দিয়ে থাকুক কিংবা না দিয়ে থাকুক। আর যদি সে ব্যক্তি ঋণ পরিশোধ করার ব্যাপারে নিশ্চিত না হয় তাহলে ঋণ পরিশোধের সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করবে।
এর আলোকে আমরা বলব: ‘ভূ-সম্পত্তি উন্নয়ন ফান্ড’ এ যার ঋণ আছে সে যদি নিজের ব্যাপারে জানে যে, ঋণ পরিশোধের মেয়াদে সে পরিশোধ করতে পারবে তাহলে ঋণ থাকা সত্ত্বেও তার উপর হজ্জ ফরয হবে।[ফাতাওয়া ইবনে উছাইমীন (২১/৯৬)]
আরও জানতে দেখুন: 36852 নং প্রশ্নোত্তর।