আলহামদু লিল্লাহ।.
চুল প্রতিস্থাপন: ব্যক্তির মাথার কোন অংশের হেয়ার ফলিকল তুলে মাথার অন্য অংশে স্থানান্তর। এর হুকুম: জায়েয। কেননা এটি দোষ দূর করা শ্রেণীয়; আল্লাহ্র সৃষ্টিকে পরিবর্তন করা শ্রেণীয় নয়।
শাইখ মুহাম্মদ বিন উছাইমীন (রহঃ) কে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল:
টাকে আক্রান্ত ব্যক্তির মাথায় চুল প্রতিস্থাপন করা হয়। তা এভাবে যে, মাথার পেছনের অংশ থেকে চুল নিয়ে আক্রান্ত স্থানে প্রতিস্থাপন করা; এটা কি জায়েয?
জবাবে তিনি বলেন:
হ্যাঁ; জায়েয। কেননা এটি আল্লাহ্র সৃষ্টিকে এর স্বরূপে ফিরিয়ে আনা এবং দোষ দূরীকরণ শ্রেণীয়। এটি সৌন্দর্যবর্ধক ও আল্লাহ্র সৃষ্টিতে বৃদ্ধি শ্রেণীয় নয়। তাই এটি আল্লাহ্র সৃষ্টিকে পরিবর্তন করার অধীনে পড়বে না। বরং এটি যা ঘাটতি আছে সেটাকে পুনরুদ্ধার করা এবং দোষ দূরীকরণের পর্যায়ভুক্ত। তিন ব্যক্তির ঘটনায় যা রয়েছে সেটি কারো অজানা হয় যে, তাদের একজন ছিল টাকযুক্ত এবং সে জানিয়েছিল যে, সে ভালোবাসে আল্লাহ্ তার চুলগুলো ফিরিয়ে দিন। তখন ফেরেশতা তার মাথায় মোছন করল। ফলে আল্লাহ্ তার চুল ফিরিয়ে দিলেন এবং তাকে সুন্দর চুল দিলেন।[ফাতাওয়া উলামায়িল বালাদিল হারাম (পৃষ্ঠা-১১৮৫)]
শাইখ যে হাদিসটির দিকে ইঙ্গিত করেছেন সেটি সহিহ বুখারী (৩২৭৭) ও সহিহ মুসলিমে (২৯৬৪) রয়েছে।
আল্লাহই সর্বজ্ঞ।