আমরা আশা করছি, আপনাদের ওয়েবসাইট Islam Q&A (ইসলাম জিজ্ঞাসা ও জবাব) কে সাপোর্ট দেয়ার জন্য মুক্তহস্তে দান করবেন; যাতে করে ইনশা আল্লাহ্ ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহর সেবায় আপনাদের ওয়েবসাইট তার পথ চলা অব্যাহত রাখতে পারে।
যদি পানির মত স্বচ্ছ স্রাব নির্গত হয় (যা শুকিয়ে গেলে সাদা রঙ ধারণ করে) সে অবস্থায় আমাদের নামায-রোযা কি সহহি? এমতাবস্থায় গোসল করা আবশ্যকীয়? আশা করি আমাকে অবহিত করবেন। এই তরলটি আমার কাছ থেকে অনেক নির্গত হয়; যা আমি আমার আন্ডার ওয়্যারে দেখতে পাই। আমি দৈনিক দুইবার বা তিনবার গোসল করি যাতে করে আমার রোযা ও নামায সহিহ হয়।
আলহামদু লিল্লাহ।.
এই তরলটি অনেক নারীর কাছ থেকে নির্গত হয়। এটি পবিত্র; নাপাক নয়। এর কারণে গোসল করা আবশ্যকীয় নয়। তবে এটি ওযুকে নষ্ট করবে।
শাইখ ইবনে উছাইমীনকে এ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে জবাবে তিনি বলেন:
গবেষণা করার পর আমার কাছে প্রতীয়মান হয় যে, নারীর কাছ থেকে যে তরল নির্গত হয়; সেটি যদি মুত্রাশয় নির্গত হয় না; বরং গর্ভাশয় থেকে নির্গত হয়; সেটি পবিত্র।
পবিত্র-অপবিত্রতার দিক থেকে এই তরলটির হুকুম হলো: এটি পবিত্র; যা পোশাক ও শরীরকে নাপাক করবে না।
আর ওযু করার দিক থেকে এর হুকুম হলো: এটি ওযু ভঙ্গকারী। তবে যদি এটি অনবরত বের হতে থাকে তাহলে এটি ওযু ভঙ্গ করবে না। কিন্তু এমন নারীর কর্তব্য নামাযের ওয়াক্ত হওয়ার আগেই নামাযের জন্য ওযু না করা।
আর যদি এটি থেমে থেমে বের হয় এবং সাধারণতঃ নামাযের সময়গুলোর গণ্ডির মধ্যে থেমে থাকে; তাহলে সেই নারী নামাযকে বিলম্বে এমন সময় আদায় করবেন যখন এটি বের হওয়ার আশংকা করেন না। যদি বের হওয়ার আশংকা করেন তাহলে ওযু করে পট্টি বেঁধে নামায পড়ে ফেলবেন। এক্ষেত্রে অল্প বের হওয়া বা বেশি বের হওয়ার মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। কেননা সবই (পেশাবের) রাস্তা দিয়ে বের হচ্ছে। তাই এটি কম হোক বা বেশি হোক ওযু ভঙ্গকারী।[সমাপ্ত][মাজমুউ ফাতাওয়া ইবনে উছাইমীন (১১/২৮৪)]
পট্টি বাঁধা দ্বারা উদ্দেশ্য হচ্ছে: লজ্জাস্থানের উপর কোন কাপড় খণ্ড বা তুলা বা এ জাতীয় কিছু দিয়ে রাখা; যাতে করে তরলটির নির্গমন কমানো যায় এবং কাপড়চোপড় ও শরীরে ছড়িয়ে যাওয়া রোধ করা যায়।
পূর্বোক্ত আলোচনার ভিত্তিতে এই তরলের কারণে গোসল করা আবশ্যক নয়। এটি রোযার উপর কোন প্রভাব ফেলবে না। নামাযের ব্যাপারে কথা হলো: প্রত্যেক নামাযের জন্য ওয়াক্ত প্রবেশ করার পরে ওযু করতে হবে; যদি এর নিগর্মন চলমান থাকে।