আমরা আশা করছি, আপনাদের ওয়েবসাইট Islam Q&A (ইসলাম জিজ্ঞাসা ও জবাব) কে সাপোর্ট দেয়ার জন্য মুক্তহস্তে দান করবেন; যাতে করে ইনশা আল্লাহ্ ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহর সেবায় আপনাদের ওয়েবসাইট তার পথ চলা অব্যাহত রাখতে পারে।
ফরয রোযার কাযা পালনকালে রোযা ভেঙ্গে ফেলার হুকুম?
আলহামদু লিল্লাহ।.
যে ব্যক্তি কোন ফরয রোযা পালন করা শুরু করেছে যেমন রমযানের কাযা রোযা কিংবা শপথ ভঙ্গের কাফ্ফারার রোযা তার জন্য কোন ওজর ছাড়া (যেমন- রোগ ও সফর) উক্ত রোযা ভেঙ্গে ফেলা জায়েয নয়।
যদি কেউ ওজরের কারণে কিংবা ওজর ছাড়া রোযা ভেঙ্গে ফেলে তাহলে তার উপর ঐ দিনের বদলে অন্য একদিন রোযা কাযা পালন করা ফরয। তাকে কোন কাফ্ফারা দিতে হবে না। কেননা কাফ্ফারা ফরয হয় শুধুমাত্র রমযান মাসের দিনের বেলায় সহবাস করার কারণে।
যদি সে ব্যক্তি কোন ওজর ছাড়া রোযাটি ভেঙ্গে ফেলে তাহলে তার উপর এ গুনাহর কাজ থেকে তওবা করা আবশ্যক।
ইবনে কুদামা (৪/৪১২) বলেন:
যে ব্যক্তি কোন ফরয রোযা শুরু করেছে যেমন- রমযানের কাযা রোযা বা মানতের রোযা বা কাফ্ফারার রোযা তার জন্য এর থেকে বেরিয়ে যাওয়া জায়েয নয়। আলহামদু লিল্লাহ; এ ব্যাপারে কোন মতভেদ নেই।[সংক্ষেপিত ও সমাপ্ত]
ইমাম নববী 'আল-মাজমু' গ্রন্থে (৬/৩৮৩) বলেন:
কেউ যদি রমযান ব্যতিত অন্য কোন রোযা পালনকালে সহবাসে লিপ্ত হয়; যেমন- রমযানের কাযা রোযা বা মানতের রোযা কিংবা অন্য কোন রোযা সেক্ষেত্রে কাফ্ফারা দিতে হবে না। এটি সংখ্যা গরিষ্ঠ আলেমের অভিমত। কাতাদা বলেন: রমযানের কাযা রোযা নষ্ট করার কারণে তার উপর কাফ্ফারা আবশ্যক হবে।[সমাপ্ত]
[দেখুন: আল-মুগনি (৪/৩৭৮)]
শাইখ বিন বায (রহঃ) কে একবার জিজ্ঞেস করা হয়:
"একবার আমি রমযানের কাযা রোযা পালন করছিলাম। জোহরের পরে আমার ক্ষুধা লেগে গেল বিধায় আমি ইচ্ছাকৃতভাবে পানাহার করে ফেললাম; ভুলে নয়, অজ্ঞতাবশতঃ নয়। আমার এ কর্মের হুকুম কী?
জবাবে তিনি বলেন:
আপনার কর্তব্য ছিল রোযা পূর্ণ করা। ফরয রোযা (যেমন- রমযানের কাযা রোযা, মানতের রোযা) ভেঙ্গে ফেলা জায়েয নেই। এখন আপনার কর্তব্য হচ্ছে-আপনি যা করেছেন এর থেকে তওবা করা। যে ব্যক্তি তওবা করে আল্লাহ্ তার তওবা কবুল করেন।"[মাজমুউল ফাতাওয়া (১৫/৩৫৫) থেকে সমাপ্ত]
শাইখ উছাইমীন (রহঃ) জিজ্ঞেস করা হয় (২০/৪৫১):
"ইতিপূর্বের বছরগুলোতে আমি কাযা রোযা আদায়কালে ইচ্ছাকৃতভাবে রোযা ভেঙ্গে ফেলেছি। পরবর্তীতে ঐ দিনের বদলে অন্য একদিন রোযা রেখেছি। আমি জানি না এভাবে একদিন রোযা রাখার মাধ্যমে কাযা পালন হয়েছে; নাকি আমাকে লাগাতার দুইমাস রোযা রাখতে হবে? আমার উপরে কি কাফ্ফারা আবশ্যক? দয়া করে জানাবেন।
জবাবে তিনি বলেন:
কোন মানুষ যদি ফরয রোযা রাখা শুরু করেছে যেমন রমযানের কাযা রোযা, শপথ ভঙ্গের কাফ্ফারার রোযা, হজ্জের মধ্যে ইহরাম থেকে হালাল হওয়ার আগে মাথা মুণ্ডন করে ফেলার ফিদিয়াস্বরূপ কাফ্ফারার রোযা ইত্যাদি; তার জন্য কোন শরয়ি ওজর ছাড়া রোযা ভেঙ্গে ফেলা জায়েয নয়। তেমনিভাবে কেউ যদি কোন ফরয আমল শুরু করে তাহলে সে আমল শেষ করা তার উপর আবশ্যক। আমলটি কর্তন করাকে বৈধকারী কোন শরয়ি ওজর ছাড়া সে আমল ছেড়ে দেয়া জায়েয নয়। এই নারী যিনি কাযা রোযা পালন করা শুরু করেছিলেন, এরপর কোন ওজর ছাড়া রোযাটি ভেঙ্গে ফেলেছেন এবং অন্যদিন রোযাটির কাযা পালন করেছেন তার উপর কোন কিছু আবশ্যক নয়। কেননা কাযা শুধু একদিনের বদলে একদিন হয়ে থাকে। কিন্তু, তার কর্তব্য হচ্ছে-বিনা ওজরে ফরয রোযা ভঙ্গ করার কারণে তওবা করা এবং আল্লাহ্র কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা।"[সমাপ্ত]