আলহামদু লিল্লাহ।.
এক:
কুরবানীর মূল হুকুম হলো এটি সুন্নতে মুয়াক্কাদা এবং ইসলামের অন্যতম একটি প্রকাশ্য নিদর্শন। শরিয়তদাতা এর প্রতি উদ্বুদ্ধ করেছেন এবং তাগিদ দিয়েছেন। বরং কোন কোন আলেম সামর্থ্যবান ব্যক্তির জন্য কুরবানী করাকে ওয়াজিব বলেছেন। এ ব্যাপারে আরও বেশি জানতে 36432 নং প্রশ্নোত্তরটি পড়ুন।
দুই:
কুরবানী করা সুন্নত এটি যখন স্থিরিকৃত হল তখন যে ব্যক্তি কুরবানী করার নিয়ত করেছে এরপর সে নিয়তকে বাতিল করেছে; এ প্রত্যাবর্তনের কারনে তার উপর কোন কিছু আবশ্যক হবে না। তবে যদি কুরবানীর পশু নির্দিষ্ট করে ফেলে যে, এই বলে যে, “এটাই কুরবানীর পশু” কিংবা অন্য কোনভাবে কুরবানীর পশুটি নির্দিষ্ট করে ফেলে তাহলে ভিন্ন কথা। নির্দিষ্ট করে ফেললে সে পশু জবাই করা আবশ্যক হবে এবং এর থেকে প্রত্যাবর্তন করা জায়েয হবে না। নির্দিষ্ট করার মাধ্যমে এটি তার মালিকানা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার কারণে।
যদি কেউ কুরবানী করার নিয়তে কোন পশু ক্রয় করে কিন্তু “এটি কুরবানীর পশু” বলে সেটিকে নির্দিষ্ট না করে সেক্ষেত্রে আলেমগণ সে পশুটি জবাই করা আবশ্যক হবে; না কি হবে না— এ নিয়ে মতভেদ করেছেন। সঠিক মতানুযায়ী আবশ্যক হবে না। যেমনিভাবে কেউ যদি তার বাড়ীটি ওয়াক্ফ করার নিয়ত করে এরপর তার নিয়ত থেকে ফিরে আসে তাহলে তার উপর কোন কিছু আবশ্যক হবে না। কুরবানীর হুকুমও অনুরূপ।
দেখুন: আল-মুগনী (৯/৩৫৩), আল-মাজমু (৮/৪০২) ও আল-শারহুল মুমতি (৭/৪৬৬)
যেহেতু আপনি এখনও কুরবানী করার পশুটি ক্রয় করেননি; থাকতো নির্দিষ্ট করবেন অতএব শুধুমাত্র নিয়তের কারণে কুরবানী করা আপনার উপর আবশ্যক নয়।
এর সাথে বলব: আপনার পক্ষ থেকে কুরবানীর পশু চয়েজ করা ও জবাই করার দায়িত্ব আপনার মাহরামকে পালন করা শর্ত নয়। বরং আপনি যদি বিশ্বস্ত কোন ব্যক্তিকে এ দায়িত্ব দেন কিংবা কোন স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দেন সেটাও হতে পারে। এর মাধ্যমে ইনশাআল্লাহ্ আপনি সওয়াব পাবেন।
আল্লাহ্ই সর্বজ্ঞ।