আলহামদু লিল্লাহ।.
গোসল বা ওযু করাকালে শরীর থেকে যেই পানি ঝরে পড়ে সেই পানির ওপর দাঁড়িয়ে থাকলে ওযু ভাঙ্গবে না। যেহেতু ফরয গোসলের বা ওযুর ঝরে পড়া সেই পানি পবিত্র।
বরং আমরা যদি ধরে নিই, সেই পানি নাপাক; সেটা এভাবে যে গোসলখানার দেয়ালের কোন ছিদ্র দিয়ে যদি নাপাকি পড়ে এবং নাপাকির কিছু অংশ গোসলকারীর গায়ে লাগে: এতে করেও ওযু ভাঙ্গবে না। বরঞ্চ ওযু নষ্ট হয় নিজের শরীর থেকে নাপাকি বের হলে; কোন নাপাকি শরীরে লাগলে নয়।
যদি পরিপূর্ণ পবিত্রতা অর্জন করার পর শরীরের কোন অঙ্গে কোন ময়লা বা নাপাকি লাগে তাহলে সেই ময়লা ধুয়ে দূর করা যায়।
ইমাম মুসলিম মায়মূনাহ্ (রাঃ) এর হাদিস সংকলন করেছেন (৩১৭) যে, তিনি বলেন: “একবার আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জন্য ফরয গোসলের পানি এগিয়ে দিলাম। তখন তিনি দুইবার বা তিনবার হাতের কব্জিদ্বয় ধৌত করলেন। এরপর তার হাত পাত্রে প্রবেশ করালেন। ঐ হাত দিয়ে তার লজ্জাস্থানে পানি ঢাললেন, আর বাম হাত দিয়ে সেটাকে ধৌত করলেন। তারপর বাম হাত মাটিতে রেখে হাতটিকে উত্তমভাবে ঘষলেন। এরপর সালাতের ওযুর মত ওযু করলেন। এরপর অঞ্জলি ভরে তিন অঞ্জলি পানি মাথার ওপর ঢাললেন। তারপর সমস্ত শরীর ধৌত করলেন। এরপর দাঁড়ানোর জায়গা থেকে সরে এসে উভয় পা ধৌত করলেন। পরিশেষে আমি তাঁর কাছে রুমাল নিয়ে এলে তিনি তা ফিরিয়ে দিলেন।”
শাইখ উছাইমীন (রহঃ) বলেন:
“গ্রন্থকারের কথা: তার পাদ্বয় অন্যত্র ধৌত করবে: অর্থাৎ যখন গোসল শেষ করবে তখন প্রথম যেখানে গোসল করেছে সেখানের বদলে অন্য স্থানে পাদ্বয় ধৌত করবে। গ্রন্থকারের কথার বাহ্যিক মর্ম হচ্ছে: এটি সাধারণ সুন্নাহ্। এমনকি যদি স্থানটি আমাদের গোসলখানার মত পরিচ্ছন্ন হয় তবুও।
আমার কাছে অগ্রগণ্য হলো: প্রয়োজন হলে তখন তার পাদ্বয় অন্য স্থানে ধৌত করবে। যেমন যদি মেঝে মাটি হয়। কেননা এমতাবস্থায় সে যদি তার পাদ্বয় ধৌত না করে তাহলে সেগুলো মাটি লেগে নোংরা হয়ে থাকবে। এ কথার সপক্ষে প্রমাণ পাওয়া যায় আয়িশা (রাঃ) এর হাদিস থেকে যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম গোসলের পর তাঁর পাদ্বয় ধৌত করেননি।”[আল-শারহুল মুমতি (১/৩৬১) থেকে সমাপ্ত]
আল্লাহই সর্বজ্ঞ।