শুক্রবার 21 জুমাদাল আউওয়াল 1446 - 22 নভেম্বর 2024
বাংলা

জনৈক খ্রিস্টান শূকরের গোশত হারাম হওয়ার কারণ জানতে চান

প্রশ্ন

প্রশ্ন: ইসলামে শূকর খাওয়া হারাম কেন? অথচ শূকর আল্লাহরই একটি সৃষ্টি। হারামই যদি হয় তাহলে আল্লাহ শূকরকে সৃষ্টি করলেন কেন?

উত্তর

আলহামদু লিল্লাহ।.

আলহামদুলিল্লাহ।

এক:

আমাদের মহান প্রতিপালক শূকর খাওয়া অকাট্যভাবে নিষিদ্ধ করেছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন: “বলুন, আমার প্রতি যে ওহী হয়েছে তাতে লোকে যা খায় তার মধ্যে আমি কিছুই হারাম পাই না; মৃত প্রাণী, প্রবাহিত রক্ত ও শূকরের গোশত ছাড়া। কেননা এগুলো অবশ্যই অপবিত্র।”[সূরা আনআম, আয়াত: ১৪৫]

আমাদের প্রতি আল্লাহর রহমত হচ্ছে এবং তাঁর পক্ষ থেকে সহজায়ন হচ্ছে — তিনি আমাদের জন্য পবিত্র বস্তুসমূহ খাওয়া বৈধ করেছেন এবং শুধুমাত্র অপবিত্র বস্তুসমূহ হারাম করেছেন। তিনি বলেন: “তিনি তাদের জন্য পবিত্রবস্তু হালাল করেন এবং অপবিত্র বস্তু হারাম করেন”[সূরা আরাফ, আয়াত: ১৫৭]

শূকর নাপাক ও নিকৃষ্ট প্রাণী— এ ব্যাপারে আমরা এক মুহূর্তের জন্যেও সন্দেহ পোষণ করি না। শূকর খাওয়া কোলেস্টেরল মানব দেহের জন্য ক্ষতিকর। তাছাড়া শূকর ময়লা-আবর্জনা খেয়ে জীবন ধারণ করে; মানুষের সুস্থ রুচিবোধ যা অপছন্দ করে এবং এমন প্রাণী খেতে ঘৃণাবোধ করে। কারণ যে মেজাজ ও স্বভাবের ওপর আল্লাহ মানুষকে সৃষ্টি করেছেন এর সাথে এটি খাপ খায় না।

দুই:

আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞান মানব দেহের উপর শূকর খাওয়ার বিভিন্ন অপকারিতা সাব্যস্ত করেছে; যেমন-

- বিভিন্ন প্রাণীর গোশতের মধ্যে শূকরের গোশতে সবচেয়ে বেশি চর্বিযুক্ত কোলেস্টেরল রয়েছে। মানুষের রক্তে কোলেস্টেরল এর পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার সাথে সাথে রক্তনালী ব্লক হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এছাড়া শূকরের গোশতে থাকা ‘ফ্যাটি এসিড’ অন্য সকল খাদ্যে থাকা ফ্যাটি এসিড থেকে ভিন্নরকম ও ভিন্ন গঠনের। তাই অন্য যে কোন খাদ্যের তুলনায় মানুষের শরীর খুব সহজে একে চুষে নেয়। যার ফলে, রক্তে কোলেস্টেরল এর পরিমাণ বেড়ে যায়।

- শূকরের গোশত ও চর্বি কোলন ক্যান্সার (বৃহদন্ত্রের ক্যান্সার), রেক্টাল ক্যান্সার (মলদ্বারের ক্যান্সার), অণ্ডকোষের ক্যান্সার, স্তন ক্যান্সার ও ব্লাডক্যান্সার এর বিস্তার ঘটায়।

- শূকরের গোশত ও চর্বি মেদ বাড়ায় এবং মেদ সংক্রান্ত রোগ বাড়ায়; যেগুলোর চিকিৎসা করা অনেক দুরূহ।

- শূকরের গোশত খাওয়া চর্মরোগ ও পাকস্থলির ছিদ্র ইত্যাদি রোগের কারণ।

- শূকরের গোশত খাওয়ার ফলে সৃষ্ট ফিতা কৃমি ও ফুসফুসের কৃমির কারণে ফুসফুস আলসার ও ইনফেকশনে আক্রান্ত হয়।

শূকরের গোশত খাওয়ার সবচেয়ে ক্ষতিকর দিক হলো, শূকরের গোশতে ফিতা কৃমির শূককীট থাকে; যাকে বলা হয় টিনিয়া সলিয়াম (Taenia solium)। এ কৃমি ২-৩ মিটার পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। এ কৃমির ডিম্বগুলো যদি মস্তিষ্কে বৃদ্ধি পায় তাহলে পরবর্তীতে মানুষ পাগলামি ও হিস্টিরিয়া রোগে আক্রান্ত হতে পারে। আর যদি হার্টে বৃদ্ধি পায় তাহলে মানুষ উচ্চ রক্তচাপ ও হার্টএটার্কে আক্রান্ত হতে পারে। শূকরের গোশতের মধ্যে আরও যেসব কৃমি থাকতে পারে সেগুলো হচ্ছে- ট্রিচিনিয়াসিস কৃমির শূককীট; রান্না করলেও এগুলো মরে না। মানুষের শরীরে এ কৃমি বাড়ার ফলে মানুষ প্যারালাইসিস ও চামড়ায় ফুসকুড়িতে আক্রান্ত হতে পারে।

চিকিৎসকগণ জোরালোভাবে বলেন যে, ফিতাকৃমি অত্যন্ত মারাত্মক রোগ; শূকরের গোশত খাওয়ার ফলে যে রোগে আক্রান্ত হতে পারে। মানুষের ক্ষুদ্রান্ত্রের মধ্যেও এ কৃমিগুলো বাড়তে পারে এবং কয়েক মাসের মধ্যে পরিপূর্ণ কৃমিতে পরিণত হতে পারে। যে কৃমির দেহ এক হাজারটি অংশ দিয়ে গঠিত। এর দৈর্ঘ্য ৪-১০ মিটার পর্যন্ত হতে পারে। আক্রান্ত ব্যক্তির দেহে এটা এককভাবে বাস করতে পারে। এর ডিম্ব মানুষের মলের সাথে বেরিয়ে যায়। শূকর যখন এসব ডিম গিলে ফেলে ও হজম করে তখন এটা শুককীটের থলি আকারে টিস্যু ও পেশীতে প্রবেশ করে। এ থলিতে এক জাতীয় তরল ও ফিতাকৃমির মাথা থাকে। যখনি কোন লোক এ ধরণের কোন শূকরের গোশত খায় তখনি এ শূককীট মানুষের পাকস্থলীতে পরিপূর্ণ কৃমিতে পরিণত হয়। এ কৃমিগুলো মানুষকে দুর্বল করে দেয়। ভিটামিন বি-১২ এর ঘাটতি ঘটায়। যার ফলে মানুষের রক্ত শূন্যতা দেখা দেয়। এ ছাড়াও অন্য কিছু স্নায়ুবিক সমস্যা ঘটায়, যেমন-স্নায়ু প্রদাহ। কোন কোন ক্ষেত্রে এ শূককীট মস্তিষ্কে পৌঁছে খিঁচুনি বা ব্রেইনের উচ্চ রক্তচাপ ঘটতে পারে। যার কারণে মাথা ব্যথা, খিঁচুনি, এমনকি প্যারালাইসিসও হতে পারে।

ভালভাবে সিদ্ধ না করা-শূকরের গোশত খেয়ে মানুষ ট্রিচিনিয়াসিস কৃমিতে আক্রান্ত হতে পারে। এ প্যারাসাইটগুলো যখন মানুষের ক্ষুদ্রান্ত্রে পৌঁছে তখন ৪-৫ দিনের মধ্যে এগুলো অসংখ্য কৃমি হয়ে পরিপাকতন্ত্রের দেয়ালে প্রবেশ করে। সেখান থেকে রক্তে এবং রক্তের মাধ্যমে শরীরের অধিকাংশ পেশীতে ঢুকে পড়ে। কৃমিগুলো শরীরের পেশীতে ঢুকে সেখানে থলি তৈরী করে। যার ফলে রোগী পেশীতে তীব্র ব্যথা অনুভব করে। এ রোগ বেড়ে গিয়ে এক পর্যায়ে মস্তিষ্কের আবরণী ও মস্তিষ্কের প্রদাহ রোগে পরিণত হয়, হার্ট, ফুসফুস, কিডনি ও স্নায়ুর প্রদাহে পরিণত হয়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে এ রোগ মৃত্যুও ঘটাতে পারে।

এ ছাড়া মানুষের এমন কিছু রোগ আছে যে রোগগুলো প্রাণীদের মধ্যে শুধুমাত্র শূকরের মাধ্যমে সংক্রমিত হয়; যেমন- Rheumatology (বাতরোগ) ও জয়েন্টের ব্যথা। আল্লাহ তাআলা ঠিকই বলেছেন: “তিনি আল্লাহ্‌ তো কেবল তোমাদের উপর হারাম করেছেন মৃত জন্তু, রক্ত, শূকরের গোশ্‌ত এবং যার উপর আল্লাহ্‌র নাম ছাড়া অন্যের নাম উচ্চারিত হয়েছে। তবে, যে ব্যক্তির আর কোন উপায় ছিল না, (সে সেটা ভক্ষণ করেছে তবে) নাফরমান ও সীমালংঘনকারী হয়ে নয়; তার কোন পাপ হবে না। নিশ্চয়ই আল্লাহ অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।”[সূরা, বাকারা, আয়াত: ১৭৩]

এই হচ্ছে- শূকরের গোশ্‌ত খাওয়ার কিছু ক্ষতিকর দিক। এ ক্ষতিগুলো জানার পর আশা করি আপনি শূকর খাওয়া হারাম হওয়ার ব্যাপারে সন্দেহ করবেন না। আমরা আশা করছি, সত্য ধর্মের দিকে ফিরে আসার ক্ষেত্রে এটা আপনার প্রথম পদক্ষেপ হবে। সুতরাং আপনি একটু থামুন, একটু অনুসন্ধান করুন, একটু চিন্তা করুন; পরিপূর্ণ ইনসাফ ও ন্যায়সঙ্গতভাবে এবং নিরপেক্ষভাবে; সত্যকে জানা ও মানার উদ্দেশ্য নিয়ে। আর আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করুন তিনি যেন দুনিয়া ও আখেরাতের কল্যাণ যাতে রয়েছে সেটার সন্ধান আপনাকে দান করেন।

আমরা যদি শূকরের গোশ্‌ত খাওয়ার কোন একটি অপকারিতাও জানতে না পারতাম তাহলেও শূকর হারাম হওয়ার ব্যাপারে আমাদের ঈমানের কোন পরিবর্তন হত না এবং সেটা বর্জনের ক্ষেত্রেও কোন দুর্বলতা আসত না। জেনে রাখুন, শুধুমাত্র আল্লাহ তাআলা কর্তৃক নিষিদ্ধ একটি গাছ থেকে খাদ্য খাওয়ার কারণে আদম আলাইহিস সালামকে জান্নাত থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। কিন্তু, আমরা সে গাছ সম্পর্কে কিছুই জানি না। কেন নিষিদ্ধ করা হল— আদম আলাইহিস সালাম এর সে কারণ অনুসন্ধান করার কোন প্রয়োজন ছিল না। বরং এতটুকু জানাই তার জন্য যথেষ্ট ছিল যে, আল্লাহ্‌ এটাকে নিষিদ্ধ করেছেন। একইভাবে আমাদের জন্য এবং প্রত্যেক মুমিনের জন্য এতটুকু জানাই যথেষ্ট।

শূকরের গোশ্‌ত খাওয়ার আরও কিছু অপকারিতা দেখুন “আবহাসুল মু’তামারিল আলাম আল-ইসলামি আনিত্তিবিল ইসলামি” (আন্তর্জাতিক ইসলামি চিকিৎসা সম্মেলন এর গবেষণাসমগ্র), কুয়েত থেকে প্রকাশিত, পৃষ্ঠা ৭৩১ ও তৎ পরবর্তী এবং আরও দেখুন, লু’লুআ বিনতে সালেহ লিখিত “আল-ওকাইয়া আস-সিহহিয়্যা ফি দাওঈল কিতাব ওয়াস সুন্নাহ” (কুরআন-হাদিসের আলোকে স্বাস্থ্য সুরক্ষা), পৃষ্ঠা- ৬৩৫ ও তৎ পরবর্তী।

প্রিয় প্রশ্নকারী, আমরা আপনাকে জিজ্ঞেস করতে চাই: ‘ওল্ড টেস্টমেন্টে কি শূকর খাওয়া নিষিদ্ধ নয়?’ যে কিতাবটি আপনাদের পবিত্র গ্রন্থেরই একটি অংশ। সেখানে আছে “প্রভু যেগুলো ঘৃণা করেন সেগুলো তোমরা খেও নাতোমরা এই সমস্ত পশুদের খেতে পার.......। তোমরা অবশ্যই শুয়োর খাবে না। শুয়োরের পায়ের খুরগুলো বিভক্ত; কিন্তু তারা জাবর কাটে না। সুতরাং খাদ্য হিসেবে শুয়োরও তোমাদের জন্য অপবিত্র। শুয়োরের কোনো মাংস খাবে না। এমনকি শুয়োরের মৃত শরীর স্পর্শ করবে না।”[দ্বিতীয় বিবরণ, অধ্যায়-১৪, স্তবক: ৩-৮] অনুরূপ বক্তব্য রয়েছে লেবীয় পুস্তকে, অধ্যায়-১১, স্তবক: ১-৮।

শূকর যে ইহুদীদের জন্য নিষিদ্ধ আমরা এর প্রমাণ উল্লেখ করার কোন প্রয়োজনীয়তা দেখছি না। যদি আপনার কোন সন্দেহ থাকে তাহলে ইহুদীদেরকে জিজ্ঞেস করে দেখুন, তারাই আপনাকে জানাবে। তবে, আমরা মনে করছি ‘আপনাদের পবিত্র গ্রন্থে এ ব্যাপারে যা এসেছে সে সম্পর্কে আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করা প্রয়োজন। আপনাদের সে কিতাবের ‘নিউ টেস্টমেন্টে’ কি বলা হয়নি যে, ‘তৌরাতের বিধান আপনাদের জন্যেও সাব্যস্ত; পরিবর্তনীয় নয়। সেখানে কি মসীহ বলেননি যে, “এই কথা মনে কোরো না, আমি তৌরাত কিতাব আর নবীদের কিতাব বাতিল করতে এসেছি। আমি সেগুলো বাতিল করতে আসিনি; বরং পূর্ণ করতে এসেছি। আমি তোমাদের সত্যিই বলছি, আসমান ও জমীন শেষ না হওয়া পর্যন্ত, যতদিন না তৌরাত কিতাবের সমস্ত কথা সফল হয় ততদিন সেই তৌরাতের এক বিন্দু কি এক মাত্রা মুছে যাবে না।”[মথি, অধ্যায়-৫, স্তবক ১৭-১৮]

এই উক্তি থাকার পর শূকরের বিধান সম্পর্কে ‘নিউ টেস্টমেন্টে’ আর কোন প্রমাণ খোঁজার দরকার হয় না। তারপরেও আমরা শূকর নাপাক হওয়া সম্পর্কে আপনাকে আরও অকাট্য একটি দলিল দিচ্ছি। “সেখানে পর্বতের পাশে একদল শুয়োর চরছিল, আর তারা (অশুচি আত্মারা) যীশুকে অনুনয় করে বলল, ‘আমাদের এই শুয়োরের পালের মধ্যে ঢুকতে হুকুম দিন।’তিনি তাদের অনুমতি দিলে সেই অশুচি আত্মারা বের হয়ে শুয়োরদের মধ্যে ঢুকে পড়ল।”[মার্ক, অধ্যায়-০৫; স্তবক ১১-১৩]

শূকর এর নাপাকি ও শূকর পালনকারীর নিকৃষ্টতা সম্পর্কে জানতে আরও দেখুন মথি ৬৭; পিটারের দ্বিতীয় পত্র-২২; লুক ১৫/১১-১৫]

আপনি হয়তো বলবেন যে, এ বিধান রহিত হয়ে গেছে যেমনটি বলেছেন পিটার ও পল?!!

আল্লাহর বাণীকে এভাবে পরিবর্তন করা হবে?! তৌরাতকে রহিত করা হবে?! মসীহ এর বাণীকে রহিত করা হবে?! যে বাণীতে তিনি আপনাদেরকে তাগিদ দিয়ে গেছেন যে, এটি আসমান ও জমিন সাব্যস্তের ন্যায় সাব্যস্ত। পল বা পিটারের বাণীর মাধ্যমে এ সবগুলো বাণীকে রহিত করা হবে?!

যদি আমরা ধরে নিই যে, পল বা পিটারের কথাই ঠিক; আসলেই শূকর নিষিদ্ধ হওয়ার বিধানটি রহিত হয়ে গেছে। কিন্তু, ইসলামে শূকর নিষিদ্ধ হওয়ার বিষয়টি আপনারা অস্বীকার করছেন কেন; যেভাবে আপনাদের ধর্মেও প্রথমে নিষিদ্ধ ছিল?!

তিন:

আপনি বলেছেন, “হারামই যদি হয় তাহলে আল্লাহ শূকরকে সৃষ্টি করলেন কেন?” আমরা মনে করি না— এটি আপনার আন্তরিক প্রশ্ন। যদি আন্তরিক প্রশ্ন হয়, তাহলে আমরাও আপনাকে প্রশ্ন করতে পারি, আল্লাহ অমুক অমুক কষ্টদায়ক বা অপবিত্র জিনিশ সৃষ্টি করলেন কেন?! বরং আমরা আপনাকে এ প্রশ্নও করতে পারি, আল্লাহ্‌ শয়তানকে সৃষ্টি করলেন কেন?!

সৃষ্টিকর্তার কি এ অধিকার নাই যে, তিনি তাঁর বান্দাদেরকে যা খুশি তাই নির্দেশ করবেন, যা ইচ্ছা তাই হুকুম করবেন। তাঁর হুকুমের সমালোচনা করার অধিকার কার আছে, তাঁর আদেশ পরিবর্তন করার অধিকার কার আছে?

অনুগত মাখলুকের কর্তব্য কি এটা নয় যে, মালিক যখনি যে আদেশ করবেন তখনি সে বলবে: শুনলাম এবং মানলাম?

(হতে পারে শূকর খেতে আপনার কাছে মজা লাগে, আপনি শূকর পছন্দ করেন, আপনার চারপাশের লোকজন শূকরকে খুব উপভোগ করে। কিন্তু জান্নাতের জন্য আপনার পছন্দের কিছু বিষয়কে উৎসর্গ করা কি কর্তব্য নয়?)

সূত্র: ইসলাম জিজ্ঞাসা ও জবাব