আলহামদু লিল্লাহ।.
এক:
আল্লাহ্র ন্যায্যতা গুণ সাব্যস্ত হওয়া
আল্লাহ্ তাআলা ন্যায্যতা (عدل)-এর গুণে গুণান্বিত হওয়া সাব্যস্ত। যেমনটি সহিহ বুখারী (৩১৫০) ও সহিহ মুসলিমে (১০৬২) আব্দুল্লাহ্ বিন মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত হয়েছে ঐ ব্যক্তির প্রসঙ্গে যেই ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বণ্টনের উপর আপত্তি তুলেছিল; তিনি বলেন: “যদি আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূল ন্যায় না করেন তাহলে আর কে ন্যায় করবে।”
এবং তার কথাকে ন্যায্যতার গুণে গুণান্বিত করাও সাব্যস্ত হয়েছে। যেমনটি তিনি বলেছেন: “আপনার প্রভুর বাণী সত্য ও ন্যায়ে পরিপূণ।”[সূরা আনআম ৬:১১৫]
ইবনুল কাইয়্যেম (রহঃ) বলেন:
তাঁর গুণসমূহের মধ্যে রয়েছে ন্যায্যতা— তাঁর কর্মে, কথায় ও মিযানের বিচারে।
এই গুণের অর্থবোধক গুণ মুয়ায (রাঃ) থেকে উদ্ধৃত হয়েছে যে, তিনি যখন কোন যিকিরের মজলিসে বসতেন তখনি বলতেন: আল্লাহ্ ন্যায়পরায়ন বিচারক; সন্দেহকারীরা ধ্বংস হোক...।[সুনানে আবু দাউদ (৪৬১১), মুয়ায (রাঃ) এর মাওকূফ হাদিস, আলবানী সহিহ বলেছেন]
আওনুল মাবুদে এর ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে: “অর্থাৎ ন্যায়পরায়ন বিচারক।”
দুই:
ন্যায্যতা সত্তাগত গুণ
ন্যায্যতা সত্তাগত গুণ। সত্তাগত গুণ চেনার নীতি হল: যে গুণে তিনি পূর্বে গুণান্বিত ছিলেন এবং এখনও গুণান্বিত আছেন। সুতরাং অনাদি ও অনন্তকাল ব্যাপী তিনি ন্যায়বান (عَدْل) ও সুবিচারক (مُقْسِط) এবং ন্যায্যতা ও সুবিচারের গুণসম্পন্ন (ذو العَدْل والقِسْط)।
শাইখ উছাইমীন (রহঃ) বলেন:
“সত্তাগত গুণাবলী: যে ভাবগুলো আল্লাহ্র জন্য অনাদি ও অনন্তকাল ব্যাপী সাব্যস্ত; যেমন- জীবন, জ্ঞান, ক্ষমতা, শ্রবণশক্তি, দৃষ্টিশক্তি, পরাক্রমশালিতা ও প্রজ্ঞা ইত্যাদি অনেক গুণ। এ গুণগুলোকে আমরা সত্তাগত গুণ বলে থাকি। যেহেতু তিনি এসব গুণে অনাদি ও অনন্তকাল ব্যাপী গুণান্বিত। এগুলো তাঁর সত্তা থেকে বিচ্ছিন্ন হয় না।”[শারহুস সাফ্যারিনিয়্যাহ (পৃষ্ঠা-১৫৫) থেকে সমাপ্ত]
আল্লাহই সর্বজ্ঞ।